বার্লিনগামী নেপালি যুবতীকে দিল্লি থেকেই কাঠমান্ডু ফেরত! বিতর্কের মাঝে মুখ খুলল কেন্দ্র
প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জার্মানির বার্লিনগামী এক নেপালি যুবতীকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কাঠমান্ডুতে! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মাঝে অবশেষে মুখ খুলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শনিবার এই ইস্যুতে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ঘটনায় ভারতের অভিবাসন বিভাগের কোনও ভূমিকা নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এটা ঠিক যে শম্ভাবী অধিকারী নামে ওই মহিলা বার্লিনের যাওয়ার উদ্দেশে দিল্লি বিমানবন্দরে এসেছিলেন। এবং তাঁকে বিমানবন্দর থেকেই কাঠমান্ডুতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ভারতের অভিবাসন দপ্তরের কোনও ভূমিকা নেই। ওই যুবতীকে আটকেছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার জেরেই তাঁকে বার্লিনগামী বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি।”
পাশাপাশি বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “এই ঘটনাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। দেখানো চেষ্টা হচ্ছে ভারত নেপালের নাগরিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। তবে এটা কোনও ভাবেই সঠিক নয়। গোটা ঘটনায় ভারতের অভিবাসন দপ্তরের কোনও ভূমিকা নেই।” উল্লেখ্য, ওই যাত্রী কাঠমান্ডু থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে দিল্লি এসেছিলেন। দিল্লি থেকে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে বার্লিন যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার জেরে শেষ পর্যন্ত তাঁর যাত্রা বাতিল করা হয়। এবং ভারত থেকে তাঁকে কাঠমান্ডু ফেরানো হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সফরের জন্য বহু ক্ষেত্রে সরাসরি বিমান পরিষেবা না থাকায় নেপাল, বাংলাদেশ-সহ একাধিক দেশের যাত্রীরা বিমানে ভারত এসে সেখান থেকে ফের আন্তর্জাতিক বিমানে উঠে নির্ধারিত গন্তব্যে যাত্রা করেন। সেভাবেই জার্মানি যাচ্ছিলেন নেপালের ওই যাত্রী। তবে এই সমস্যা সামনে আসায় বহু বিদেশি যাত্রী অভিবাসন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে জানতে চায়। তবে কেন্দ্র এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘এহেন যাত্রার ক্ষেত্রে ভারতের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন নেই, কারণ এটি বিমান সংস্থা এবং যাত্রীর মধ্যেকার বিষয়, যেখানে ভারতীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কোনও ভূমিকা নেই।’