এই সময়: বর্ষায় কলকাতা ও শহরতলির রাস্তার দুর্দশা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হলো হাইকোর্টে। মামলাকারীর মূল অভিযোগ, কলকাতা, হাওড়া ছাড়াও দমদম, বিধাননগর, বেহালার বিস্তীর্ণ অংশে অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তা ভেঙেচুরে গেলে নামমাত্র সংস্কার হয়।
এ দিকে প্রতিবছর বৃষ্টি হলেই শহরের বহু রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। রাস্তার ধারে নেই নিকাশি নালাও। ফলে দীর্ঘদিন সেই জল দাঁড়িয়ে থাকায় রাস্তা ভেঙেচুরে বেহাল হয়। বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে প্রবল যানজটও বিপত্তি বাড়ায়।
গত সপ্তাহে বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে–র ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। আদালত রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভাকে এ ব্যাপারে নিজেদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে।
হাইকোর্টে মামলাকারী আইনজীবী আকাশ শর্মার বক্তব্য, শহরের বহু রাস্তা অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি হওয়ায় বৃষ্টি হলেই জায়গায় জায়গায় জল জমে থাকছে। আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সেই জল দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা খারাপ হচ্ছে। বেহালা, ঠাকুরপুকুর থেকে ভিআইপি রোডে হলদিরাম মোড় বা বাগুইআটি, চিনার পার্ক, চিংড়িঘাটা, ইএম বাইপাসের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এই সব বড় রাস্তা লাগোয়া সার্ভিস রোডগুলির দুর্দশা নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। শুধু কলকাতা পুরসভা নয়, এ ক্ষেত্রে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে কেএমডিএকেও। কারণ, বৃহত্তর কলকাতায় কেএমডিএ–র বড় ভূমিকা রয়েছে।
মহারাষ্ট্রের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের উল্লেখ করে নাগরিকের সুস্থ ভাবে ভালো রাস্তায় হাঁটার অধিকার যে মৌলিক অধিকারের অংশ, তাও মনে করানো হয়েছে। প্রাথমিক শুনানির পরে হাইকোর্ট তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য ও পুরসভাকে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। তার পরে মামলাকারীকে পাল্টা বক্তব্য পেশ করতে হবে।