সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছে গেল দিল্লির দূষণের মাত্রা। রবিবাসরীয় সকালে দিল্লিবাসীর ঘুম ভাঙল ঘন কুয়াশার মধ্যে। একদিকে ধোঁয়াশার ঘনত্ব, অন্যদিকে বায়ুর গতিবেগ একেবারে মৃদু- যার ফলে দূষণ ফের লাফিয়ে বাড়ছে বলেই মনে করছে সিপিসিবি। বেশ কিছু অঞ্চলে দূষণের মাত্রা রয়েছে চারশোর আশপাশে। যাকে ঘিরে শঙ্কা বাড়ছে।
এদিন সকাল ৭টায় সিপিসিবির সমীর অ্যাপের হিসেব বলছে, রাজধানীর এদিনের দূষণের মাত্রা ৩৭৭। যেখানে শুক্র ও শনিতে গড়ে তা ছিল যথাক্রমে ২১৮ ও ২৩৩, সেখানে একলাফে এতটা বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কার ছবি দেখছে রাজধানী। এর মধ্যে উত্তর দিল্লির ওয়াজিরপুর ও দক্ষিণ দিল্লির আর কে পুরমের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। সেখানে যথাক্রমে ৪৩২ ও ৪২৫- এই ছিল দূষণের মাত্রা! বাকি অঞ্চলগুলিতেও মাত্রা এরই কাছাকাছি। তবে তিনটি অঞ্চল যথা এনএসটি দ্বারকা (২৫৪), দিলশাদ গার্ডেন (২৭০), দিল্লি টেকনিলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (২৯২)- এখনও ‘খারাপ’ পর্যায়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার তার ট্রায়াল হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বাড়ছে দূষণ। সময়সীমা বেঁধে দীপাবলিতে ‘সবুজ বাজি’তে সম্মতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সে সময়সীমা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। রাতভর অবিরাম আতশবাজির দৌরাত্ম্যে দূষণে হয়ে উঠেছিল দিল্লির বাতাস। বাতাসের গুণগত মান (AQI) ৪৫১তে পৌঁছে যায়। যা ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। এরপর বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলেও ‘দমবন্ধ’ অবস্থা কাটেনি দিল্লির। আর এই পরিবেশে বাড়ছে অসুস্থতা। বাড়ছে উদ্বেগ।