• বৃষ্টি কমেছে উত্তরবঙ্গে, তবুও সতর্ক প্রশাসন
    আনন্দবাজার | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • ভুটান থেকে নেমে আসা নদীগুলির জলস্তর কমছে শনিবার। দিনভর বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তা বলে উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক সতর্কতা কমেনি। কারণ, শুক্রবার রাতে কার্শিয়াঙের কাছে ধস নেমে কম-বেশি চল্লিশটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং, সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক তিস্তাবাজার এলাকায় বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। এ দিন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থেকে লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে তিস্তা নদীতে।

    আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, শক্তি ক্ষয় করে ‘মোন্থা’ থেকে উদ্ভূত নিম্নচাপ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে অবস্থান করছে বলে উত্তরবঙ্গে তার প্রভাব সামান্য কমেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের মুখপাত্র গোপীনাথ রাহার কথায়, “ঝঞ্ঝার প্রভাব কিছুটা কমেছে। রবিবারের (আজ) পরথেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে বজ্রপাতের সম্ভাবনা গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা বেড়েছে।’’

    শুক্রবার রাতভর প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন এলাকায় এবং দফতরে ‘কন্ট্রোল রুম’ খোলা হয়েছিল। মিরিকের তাবাকোশি এলাকা থেকে যে ছ’টি পরিবারকে সরানো হয়েছিল, তাদের এখনও নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। দার্জিলিং পাহাড়ে অন্তত বারোশো বাসিন্দা এখন ত্রাণ শিবিরে আছেন। জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমায় এখনও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন অনেকে। নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগানের কারখানাতে এখনও অনেক বাসিন্দা রয়েছেন। বাগানের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসনের নজরদারিতে কারখানায় আশ্রিতদের খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে।’’

    শুক্রবার বৃষ্টির জল জমেছিল ধূপগুড়ির ত্রাণ শিবিরে। সে জল নেমেছে। যদিও এখনও প্রশাসনের তরফ থেকে সকলকে ত্রাণ শিবিরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দুধিয়ার অস্থায়ী সেতু এ দিন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)