• পড়ুয়াদের বইমুখী করার ভাবনা, বনগাঁ হাইস্কুলে চালু ডিজিটাল পাঠাগার
    আনন্দবাজার | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • শিক্ষা ও প্রযুক্তির যুগলবন্দিতেনতুন দিগন্ত খুলে গেল বনগাঁ হাইস্কুলে। শনিবার বিদ্যালয়েউদ্বোধন হল আধুনিক ডিজিটাল পাঠাগারের। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান এ বার ই-শিক্ষাকে নিয়ে এল ছাত্রছাত্রীদের নাগালে।

    বিদ্যালয়ের পাঠাগারে আপাতত রাখা হয়েছে হাজার পাঁচেক ই-বুক ও ১০ হাজার ছাপা বই, যা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা পড়তে পারবেন। বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি বিদেশি সাহিত্যেরও সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে এখানে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবনানন্দ দাশ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাসমূহ পাওয়া যাবে ডিজিটাল রূপে। আপাতত পাঠাগারে গিয়ে ছ’টি নির্দিষ্ট কম্পিউটারে বসে ই-বুক পড়া যাবে। ভবিষ্যতে ই-বুকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ।

    প্রধান শিক্ষক কুণাল দে বলেন, “অনেক পুরনো, দুষ্প্রাপ্য বই ডিজিটাল রূপে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতেই এই উদ্যোগ।” তিনি জানান, পরবর্তী পর্যায়ে স্কুলের ওয়েবসাইটে লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে ঘরে বসেই ই-বুক পড়ার সুবিধা পাওয়া যাবে।

    সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তাই তাঁর স্মৃতি বিজড়িত স্কুলে ডিজিটাল পাঠাগারের সূচনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের কথায়, “সাহিত্যচর্চা ও পাঠাভ্যাস ফেরানোর ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী।”

    এ দিন উদ্বোধন হয়েছে ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্লাসরুমেরও। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হবে সেখানে। শিক্ষকেরা ভিজুয়াল ও অডিয়ো উপকরণ ব্যবহার করে পাঠদান করতে পারেন। এতে ছাত্রছাত্রীদের শেখার আগ্রহ ও মনোযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকেরাও।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)