• সোনা লুটের ঘটনায় উদ্ধার স্কুটি, অধরা অভিযুক্তেরা
    আনন্দবাজার | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • রিভলভার দেখিয়ে এক সোনার গয়নার কারিগরের কাছ থেকে দু’কেজিরও বেশি সোনা লুটের অভিযোগে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় চুরি যাওয়া স্কুটিটি উদ্ধার করেছে সিঁথি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বরাহনগর বাজারের কাছ থেকে স্কুটিটি পাওয়া গিয়েছে। তবে স্কুটিতে থাকা সোনা ভর্তি ব্যাগের সন্ধান পাননি তদন্তকারীরা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার পর তদন্তকারীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা ঘটনার রাতেই বরাহনগর বাজারের কাছে স্কুটিটি ফেলে রেখে লুটের সোনা নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছে।

    সিঁথি থানা এলাকার রাজা অপূর্বকৃষ্ণ লেনে একটি সোনার গয়না তৈরির কারখানা রয়েছে। বুধবার রাতে সেখানকার এক কর্মীবড়বাজার থেকে সোনা নিয়ে ফিরছিলেন। তাঁর দাবি, সঙ্গে ছিল প্রায় তিন কোটি টাকার সোনা। তিনি কারখানার গেটের সামনে স্কুটিতে সোনা ভর্তি ব্যাগ রেখে গেটখুলতে যান। অভিযোগ, সেই সময় দু’জন দুষ্কতী তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে ভয় দেখায়। এক জন স্কুটিনিয়ে পালিয়ে যায়। অন্য জনওউল্টো দিকে উধাও হয়ে যায় ওই সময়ে। তাকে তাড়া করেও ধরাযায়নি। একটি তেতলা বাড়ির একতলায় রয়েছে গয়না তৈরির ওই কারখানা। উপরের দু’টি তলায় কর্মীদের থাকা-খাওয়ার জায়গা রয়েছে।

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শনিবারও ওই কারখানার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুক্রবারই কারখানার পাঁচ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এ দিন বাকিদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। তাঁদের বয়ানের সঙ্গেখতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার ছবি। পাশাপাশি, পুলিশের সন্দেহ ওই লুটের ঘটনার পিছনে পরিচত কেউ থাকতে পারে। একপুলিশকর্তা জানান, তিন কোটি টাকার সোনা নিয়ে ওই সময়ে যে কারখানায় ফেরা হবে, তা অচেনা দুষ্কৃতীদেরপক্ষে আগাম জানা সম্ভব নয়। তাই মনে করা হচ্ছে, পরিচিত কেউ দুষ্কৃতীদের খবর দিয়ে থাকতে পারে। একই সঙ্গে বড়বাজারের যেখান থেকে ওই সোনা নিয়ে আসা হচ্ছিল, সেখানকার কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি জানান।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)