প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ নভেম্বর ২০২৫
প্রয়াত ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্তও হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। রবিবার ভোরে প্রয়াত হন প্রাক্তন বিধায়ক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘উনি ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন এবং গত কয়েক বছর ধরে দলের উচ্চ পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।’
কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলেন মইনুল হক। ছাত্রনেতা হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু। ১৯৯৬ সালে প্রথম বার কংগ্রেসের টিকিটে ফরাক্কার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক আবুল হাসনাৎ খানকে হারিয়েছিলেন। এরপর টানা পাঁচবার ফরাক্কা বিধানসভা থেকে বিধায়ক হন।
কংগ্রেসে থাকার সময় এআইসিসি-র সদস্যও হন তিনি। দীর্ঘ দিন জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে লড়লেও জিততে পারেননি। তৃণমূলের কাছে পরাজিত হন। ফরাক্কা কেন্দ্রে তৃণমূলের মনিরুল ইসলামের কাছে হেরে যান তিনি।
সেই বছরই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কংগ্রেসনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস ছাড়েন। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন মইনুল হক। পরে তাঁকে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি করা হয়। সম্প্রতি দলের রাজ্যস্তরের কাজের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন মইনুল।
প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এক্সে লিখেছেন, ‘আমার রাজনৈতিক সহকর্মী মইনুল হকের প্রয়াণে গভীর শোকজ্ঞাপন করছি। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।’