টাইপ ১ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলা মডেল বিশ্বের কাছে অনুকরণীয়: মমতা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ নভেম্বর ২০২৫
ফের প্রশংসিত ‘বাংলার মডেল’। এবার এসএসকেএম হাসপাতালের মুকুটে জুড়ল একটি নতুন পালক। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘বাংলা মডেল’ হিসেবে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস চিকিৎসায় রাজ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের মডেল অন্যদের কাছে একটি বিশ্বব্যাপী মডেলে পরিণত হয়েছে।
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা অনেক সমস্যাকে ডেকে আনে। তিন দশক আগেও শিশু ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই রোগ ছিল অত্যন্ত বিরল। এখন তা কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভারতে প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে এক জনের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগ মূলত দুই ধরনের হয়, টাইপ-১ ও টাইপ-২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত সমস্যার কারণে হয়। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। একে অটোইমিউন রোগ বলা হয়। অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
এই অবস্থাকে বলা হয় টাইপ-১ ডায়াবেটিস। তবে দুই ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে লক্ষণ মোটামুটি এক। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। রাতের দিকে এই সমস্যা বাড়ে। বার বার গলা শুকিয়ে যায়। ক্লান্ত লাগে এবং হঠাৎ ওজন কমে যায়। কোনও জায়গা কেটে গেলে সহজে শুকতে চায় না।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে প্রতিটি জেলার এনসিডি বা নন-কমিউনিকেবল ডিজিস ক্লিনিকে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা পরিষেবা চালু হয়েছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্সদের দ্বারা পরিচালিত ক্লিনিকে দেওয়া হয় বিনামূল্যে ইনসুলিন, ব্লাড গ্লুকোজ মনিটরিং কিট ইত্যাদি। এ বিষয়ে বাংলা এগিয়ে।
এক্সে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতাল পরিদর্শনে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি অসংক্রামক রোগের চিকিৎসায় একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ।
মুখ্যমন্ত্রী পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘বাংলার মডেল’ বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় মডেল হয়ে উঠেছে।‘
তিনি আরও লেখেন, ‘সম্প্রতি, হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক জিন বুখম্যান, যিনি অসংক্রামক রোগের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি, আমাদের এসএসকেএম হাসপাতাল পরিদর্শন এসেছিলেন। তিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। কারণ, এটি দেশের প্রথম জাতীয় ভাবে পরিচালিত একটি কর্মসূচি। এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িতে সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।‘