বিশ্বজিৎ মিত্র: হরিণঘাটা বিধানসভার (Haringhata Assembly constituency) হিংনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভুয়ো মুসলিম ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিজেপি (Bjp) বিধায়ক অসীম সরকারের অভিযোগ, যেসব এলাকায় মুসলিমদের কোনও বাড়িঘর নেই, সেখানেই তৃণমূল (TMC) মুসলিম ভোটারদের নাম জোর করে ভোটার তালিকায় ঢুকিয়েছে।
অসীমের অভিযোগ
বিধায়ক অসীম সরকারের দাবি, এই ভোটারদের অনেকেরই এলাকায় স্থায়ী ঠিকানা নেই। তবুও তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শুধুমাত্র ভোটের স্বার্থে। অসীমবাবু আরও জানান, এসআইআর ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এই ধরনের ভুয়ো নাম দ্রুত ধরা পড়বে এবং বাদ যাবে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে-- এই তথাকথিত ভোটাররা কোথা থেকে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিজেপি
বিজেপি কর্মীরা এ নিয়ে চাকদহ বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই ধরনের অনিয়ম ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নষ্ট করছে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।
তৃণমূল
অন্য দিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কটাক্ষ করেছে, অসীম সরকার কখন কোন কথা বলেন ও কোন পথে চলেন, সেটা বোঝা দুঃসাধ্য। নাম তোলা বা কাটা নিয়ে যদি আমরা দেখি, তাহলে দেখব উনি ঘুরপথে এসআইআর -এরই সমালোচনা করছেন। ওঁদের দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকে বাংলার সঙ্গে চক্রান্ত করছে। উনি নিজের দলের বিভাজন ঢাকতে প্রশাসনের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। এসআইআর ব্যবস্থা চালু থাকায় মিথ্যা অভিযোগ টিকবে না। আগামী ৪ তারিখ থেকে আমরা ক্যাম্প করব, কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না।
প্রশাসন
চাকদহ বিডিও সমীরণকৃষ্ণ মণ্ডল জানান, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এসআইআর সিস্টেমের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটারদের তথ্য পরিষ্কারভাবে উঠে আসবে। ভোটের মুখে এই অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। প্রশাসনিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও শুরু হয়েছে আলোচনা-- ভোটের আগে এই বিতর্ক হরিণঘাটার রাজনৈতিক সমীকরণে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই দেখার।