‘ক্লাউড সিডিং’-এর নামে দুর্নীতি! বিরোধীদের তোপে বিদ্ধ দিল্লির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার
প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: সায় ছিল না বিশেষজ্ঞদের। কেন্দ্র সরকারও আগেই বলে দিয়েছিল, দিল্লির শীতের আবহাওয়া ‘ক্লাউড সিডিং’-এর অনুকূল নয়। তবু কেন, কোন যুক্তিতে, কার অনুমতিতে করদাতাদের ৩৪ কোটি টাকা জলে ফেলা হল? উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন। তাহলে কি এর নেপথ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের দুর্নীতি? বাদ যাচ্ছে না এই তত্ত্বও।
কোভিড আবহে গোটা দুনিয়া তখন ঘরবন্দি। বিষাক্ত পরিবেশে একমাত্র স্বস্তি দিয়েছিল দিল্লির আবহাওয়া। কলকারখানা বন্ধ থাকায়, রাস্তায় গাড়ি না বের হওয়ায় বিষমুক্ত ছিল দিল্লির আকাশ-বাতাস। শীত আসতেই প্রথা মেনে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে খেতে আগুন লাগানো শুরু করেন অন্নদাতারা। শুরু হয় পরিবেশ দূষণ। সেই সময়ই আইআইটি-র প্রাক্তন ছাত্র, দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শুরু করেন কৃত্রিম বৃষ্টির পরিকল্পনা। তবে মেলেনি কেন্দ্রের অনুমতি। বিশেষজ্ঞরাও রাজি হননি। শুধুই কি রাজনীতির জন্য আম আদমি পার্টির সরকারকে অনুমতি দিচ্ছে না কেন্দ্র? উঠতে শুরু করে এই ধরনের প্রশ্ন।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রক জানায়, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে দিল্লিতে যে আবহাওয়া থাকে, তা কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য অনুকূল নয়। বলা হয়, কৃত্রিম বৃষ্টি করাতে মেঘে যে পরিমাণ আর্দ্রতা, ঘনত্ব প্রয়োজন, এই সময় পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় তৈরি হওয়া মেঘে সেই ক্ষমতা থাকে না। মেঘ হলেও তা হয় অনেক উঁচুতে থাকে বা অনেক শুষ্ক। জলকণা তৈরি হলেও তা মাটিতে আসার আগেই শুকিয়ে যায়। এই কারণে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি করানোর কোনও যুক্তি নেই।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কেন এই বিপুল খরচ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আইআইটি কানপুরের এক বিশেষজ্ঞও জানিয়েছেন, দিল্লির বর্তমান আবহাওয়ায় কৃত্রিম বৃষ্টি সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টির তরফে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যেখানে আছে দুর্নীতির অভিযোগও।