‘সবই ঈশ্বরের লীলা’, পদপিষ্টে ১২ মৃত্যুর দায় নিতে নারাজ অন্ধ্রের মন্দির নির্মাতা
প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় সামনে এসেছে অপরিকল্পিত নির্মাণ ও চূড়ান্ত অব্যবস্থা। তবে সে অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মন্দির নির্মাতা। এই দুর্ঘটনাকে ‘ঈশ্বরের লীলা’ বলে দাবি করলেন মন্দির নির্মাতা ৯৪ বছর বয়সি হরি মুকুন্দ। শুধু তাই নয়, মন্দিরে পুলিশ না অভিযোগে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মন্দির আমার নিজের জায়গায় তৈরি। ফলে পুলিশ কেন ডাকব?’
উল্লেখ্য, শনিবার একাদশী উপলক্ষে তিরুপতি মন্দিরের আদলে তৈরি এই মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন ১০ হাজারের বেশি ভক্ত। মাত্রাছাড়া ভিড়ের কারণে সরু প্রবেশপথের কাছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ধাক্কাধাক্কিতে রেলিং ভেঙে মাটিতে পড়ে যান বেশ কয়েকজন। এরপরই ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। একসঙ্গে তাঁরা সেখান থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যার জেরেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অন্তত ৯ জনের। পরে জানা যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।
জানা যাচ্ছে, তিরুপতি মন্দিরের আদলে এই মন্দির নির্মাণ করেন হরি মুকুন্দ। মাত্র ৪ মাস আগে মন্দিরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় এবং তা জনসাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে মন্দিরে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য একটি মাত্র গেট ছিল। যার জেরেই পরিস্থিতি গুরুতর আকার নেয়। ঘটনার জেরে অভিযোগের আঙুল ওঠে মন্দির নির্মাতার দিকে। তবে ওড়িশার বাসিন্দা হরি মুকুন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, এই ঘটনা ঈশ্বরের ইচ্ছায় হয়েছে। এখানে কারও কোনও হাত নেই। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা প্রসঙ্গে খোদ মুখ্যমন্ত্রী নাইডু অভিযোগ করেন, ওখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না। আয়োজকরা পুলিশকেও আগে থেকে কিছু জানায়নি। এপ্রসঙ্গে হরি মুকুন্দ মন্দির আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর নির্মিত। ফলে সেখানে পুলিশ কেন ডাকব?
এদিকে এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে পদপিষ্টের ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা এই দুর্ঘটনায় পরিজনদের হারিয়েছেন তাঁদের সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, যারা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিজনদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে।’