• ‘স্মৃতিহীন এমএলএ’, পোস্টারে ছয়লাপ তেহট্ট, কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল বিধায়কের?
    প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: এলাকার তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ তেহট্ট এলাকা। কোনও পোস্টারে লেখা ? ‘স্মৃতিহীন এমএলএ’, কোনওটায় লেখা ? ‘এমএলএ কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা/করিমপুরের উন্নয়ন অধরা।’ সাদা কাগজে লাল, কালো কালিতে লেখা এমনই নানা পোস্টারে এলাকা ঢেকে গিয়েছে। করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়ের প্রতিক্রিয়া, তাঁকে কালিমালিপ্ত করতে একশ্রেণির মানুষ এগুলা করে বেড়াচ্ছে। তিনি এও জানান, এসব কাদের কাজ, তিনি তা জানেন। তাদের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাবেন।

    এক, দুটো নয়, প্রায় ৬, ৭টা পোস্টারে করিমপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ, কটাক্ষ করা হয়েছে। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘বিধায়ক খুব কাছের মানুষকে ভুলে যান’, কোথাও অভিযোগ, ‘বিধায়ক হিসেবে তিনি দুর্বল।’ পোস্টারে এই অভিযোগও তোলা হয়েছে, বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায় স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন এখনও অধরা। কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে তিনি দলের ব্লক কিংবা অঞ্চল নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন না।

    এসব পোস্টার নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মত, এলাকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভৈরব নদের উপর মুরুটিয়া বাজার সংলগ্ন সেতুটি দিয়ে ভারী যানবাহন বন্ধ রয়েছে, তাতে এলাকার বেশ কয়েক হাজার মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। করিমপুর বক্সীপুর অসমাপ্ত সেতুর কাজ বিন্দুমাত্র এগোয়নি, করিমপুর বাজার সংলগ্ন এলাকাতে যানজট কমাতে রাস্তা সম্প্রসারণের কথা দিয়েছিলেন বিধায়ক। তবে এসব উন্নয়নমূলক কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সেই কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন। আর বিধায়ক অনুগামী বলে পরিচিতদের দাবি, বিধায়ক একজন নম্র-ভদ্র একজন মানুষ। তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক, তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। এলাকার মানুষের কাছে পেশায় শিক্ষক তথা বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়ের যথেষ্ট সুনাম ও আস্থা রয়েছে। তাই তাঁরা মনে করছেন, এসব পোস্টার বিভ্রান্তিমূলক।

    পোস্টার নিয়ে করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়ের বক্তব্য, ”এসব কারা করছে আমি বুঝতে পেরেছি। যথাস্থানে জানাব। আমাকে কোনওভাবেই পরাস্ত করা যাচ্ছে না দেখে অনৈতিক পথ অবলম্বন করেছে ওরা। সঠিক সময়ে তাদের মুখোশ খুলে দেব।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)