• এসআইআরের প্রতিবাদে খোদ বিএলও! শান্তিপুরে রাস্তায় চলল প্রচার, বিক্ষোভ কর্মসূচি
    প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ১২টি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাতেও এসআইআরের কাজ শুরু হয়েছে। বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজও শুরু হচ্ছে। সেই আবহে এসআইআরের বিরোধিতায় খোদ এক বিএলও সরব হয়েছেন। টোটো নিয়ে এলাকায় ঘুরে মাইক নিয়ে প্রচারও করেছেন তিনি! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চাও। একজন বিএলও কীভাবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের সরাসরি বিরোধিতা করতে পারেন? সেই প্রশ্ন উঠেছে।

    রাজ্যে এসআইআর নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। এসআইআর আতঙ্কও সাধারণ মানুষদের একটা অংশের মধ্যে কাজ করছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী মঙ্গলবার কলকাতায় এসআইআরের বিরুদ্ধে পথে নামবেন। শহর কলকাতায় তৃণমূলের তরফে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই আবহে নদিয়ার শান্তিপুরের বিএলওর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    সম্প্রতি শান্তিপুরে জন উদ্যোগ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন স্থানীয় শিক্ষক তথা বিএলও প্রসেনজিৎ সাহা। তিনি ১৯৬ নম্বর বুথের বিএলও বলে জানা গিয়েছে। এদিকে তিনিই এসআইআরের প্রতিবাদ করে নিজে সরব হয়েছেন। হাতে মাইক নিয়ে বক্তব্যও রেখেছেন তিনি! কুশপুতুল দাহ করার কর্মসূচিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন।

    বিজেপির তরফে ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের লোক হয়ে কীভাবে তিনি এমন কথা বলছেন? কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? সেই প্রশ্ন বিজেপির তরফে উঠেছে। যদিও তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাওয়া হয়নি। ওই বিএলও যা বলেছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন। কিন্তু গোটা বিষয়টি নিয়ে কী মন্তব্য শান্তিপুরের ওই বিএলওর? প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, “সমালোচনা করার স্বাধীনতা মানুষের আছে। আমার কাছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যদি কোনও প্রশ্ন আসে, তখন আমি উত্তর দেব।” তিনি কোন দায়িত্বে আছেন, সেই সম্পর্কেও তিনি ওয়াকিবহাল বলে জানিয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক মতামত ও সরকারি দায়িত্ব আলাদা বলেও জানিয়েছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)