অভিযোগ করা হয়েছে, বর্ধমানের সরকারি একজনের প্রয়োজনের রক্ত দেওয়া হয়েছে অন্য রোগীকে। যদিও, এই ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি কেউ। হাসপাতালের তাপসকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে এখনও অবধি কোনও অভিযোগ আসেনি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এই ঘটনার অভিযোগ পেলে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা নমিতা মাঝি আসেন হাসপাতালে। ৫৩ বছরের নমিতা রক্তাল্পতার রোগী। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের তুলসীডাঙ্গা গ্রামে। শনিবার তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে আনা হয়। জানা গিয়েছে, নিউ বিল্ডিং-এ ভর্তি করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, জরুরি বিভাগের সামনের ওই নিউ বিল্ডিং-এ একই জায়গায় নমিতা নামের আরও একজন রোগী ভর্তি রয়েছেন। যদিও অন্য সেই রোগীর নাম নমিতা বাগদী।
নমিতা মাঝির পরিবারের দাবি, তাঁদের দু’টি কাগজ দিয়ে ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত আনতে বলা হয়। নমিতা মাঝির ছেলে সঞ্জিত মাঝির দাবি, “সেই রক্ত নমিতা মাঝির বদলে নমিতা বাগদি নামে অন্য একজনকে দেওয়া হয়।” জানা গিয়েছে, নমিতা বাগদীকে রক্ত দেওয়ার শুরু হতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই সিস্টাররা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা হয় সেই রক্ত।