‘শেষ করে দিয়েছি’, স্ত্রীর মুখে-মাথায় পাথর থেঁতলে আত্মসমর্পণ যুবকের!
প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
নিরুফা খাতুন: বিভিন্ন কারণে স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন স্বামী। প্রায়শই সংসারে ঝগড়া, অশান্তিও চলত বলে অভিযোগ। গতকাল, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রবল অশান্তি শুরু হয়। সেসময় পাথর দিয়ে স্ত্রীর মাথা-মুখ থেঁতলে দিলেন স্বামী! এরপর সোজা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন ওই যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার বেহালার ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায়। ওই যুবকের নাম মিলন বালা। পুলিশ তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঠাকুরপুকুর থানার আনন্দনগরের একটি বাড়িতে থাকেন ওই দম্পতি। স্ত্রী কাজল বালাকে দীর্ঘদিন ধরেই মিলন সন্দেহ করছিলেন বলে খবর। বিভিন্ন বিষয়ে সেই সন্দেহ নিয়ে দম্পতির মধ্যে বচসা-ঝগড়াও হত। গতকাল রাতেও প্রবল অশান্তি হচ্ছিল বলে খবর। অভিযোগ, সেসময় একটি ভারী পাথর দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন তিনি। মাথা ও মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়!
রক্তাক্ত স্ত্রীকে ঘরে ফেলে রেখেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মিলন। সোজা পৌঁছে যান ঠাকুরকুর থানায়। স্ত্রীকে মেরে থানায় আত্মসমর্পণ করতে তিনি উপস্থিত হয়েছেন, সেই কথা পুলিশ কর্মীদের জানান ওই যুবক। বলেন, “শেষ করে দিয়েছি।” তাঁর পোশাকেও রক্ত লেগেছিল বলে খবর। প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়েছিলেন থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের একাংশ। পরে ওই যুবককে নিয়ে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ ওই বাড়িতে হাজির হয়। দেখা যায়, ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তরুণী।
দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অস্ত্রোপচারে তাঁর মাথায়, মুখে একাধিক সেলাই পড়েছে। হাসপাতালের আইসিইউ-তে তিনি ভর্তি রয়েছেন। ওই তরুণীর বাপেরবাড়ির তরফে মিলনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনা জানাজানিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।