বিহারে নির্বাচনের দোরগোড়ায় রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে টেনে আনলেন সেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গ। তুললেন ইন্দিরা জমানার শিখ গণহত্যার কথাও। এ দিন পাটনায় একটি রোড-শো করেন মোদী।
বিহারের ভোজপুর জেলার আরায় বিজেপির জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মোদী। সেখানেই অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে মোদীর কটাক্ষ, ‘আজ ভারত জঙ্গিদের ঘাঁটি খুঁজে বের করে খতম করছে। আমরা অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করেছি। আমাদের গ্যারান্টি পূরণ করিনি এবং আপনার সামনে তা প্রমাণ করিনি? প্রতিটি ভারতীয়ের কি আমাদের সৈন্যদের জন্য গর্বিত হওয়া উচিত নয়?’ এর পরেই বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদীর বক্তব্য, ‘সেনাবাহিনীর সাফল্য সত্ত্বেও কংগ্রেস এবং আরজেডি এতে অসন্তুষ্ট বলে মনে হচ্ছে। যখন পাকিস্তানে বিস্ফোরণ ঘটছিল, তখন কংগ্রেসের রাজপরিবারের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। আজ পর্যন্ত পাকিস্তান এবং কংগ্রেসের খ্যাতনামার অপারেশন সিঁদুরের ক্ষত থেকে সেরে উঠতে পারেনি।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরে ১ ও ২ নভেম্বর গোটা দিল্লিতে উত্তেজনা ছড়ায়। বিভিন্ন জায়গায় শিখদের গণহত্যার ঘটনায় অস্থিরতা তৈরি হয়। সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদীর খোঁচা, ‘দিল্লিতে শিখদের গণহত্যা করা হয়েছিল। যারা দোষী ছিল তাদেরই দল প্রচার করছে। কংগ্রেস এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চায়নি।’ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-রও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার লক্ষ্যেই’ এই ভোটার অধিকার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল।
অন্য দিকে, রবিবার বেগুসরাইতে প্রচারে হাজির হয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাহুলের বক্তব্য, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আছেন যাঁর ৫৬ ইঞ্চি বুকের গর্ব, কিন্তু তিনি অপারেশন সিন্দুরের সময় ট্রাম্পের (ডোনাল্ড ট্রাম্প) নির্দেশে আতঙ্কিত হয়ে ভারত-পাক সংঘর্ষ বন্ধ করে দেন। তিনি কেবল ট্রাম্পকে ভয় পান না, বরং তাঁকে রিমোট কন্ট্রোল করছেন আম্বানি এবং আদানিও।’
দু’দিন আগেই বিহারের একটি সভা থেকে মোদির বক্তব্য ছিল, ‘বিজেপি আপনাদের সস্তা ইন্টারনেট দিয়েছে, যাতে আপনারা রিল দেখতে পারেন এবং রিল তৈরি করতে পারেন।’ সেই বক্তব্যের সমালোচনা করে রাহুলের জবাব, ‘প্রধানমন্ত্রী তরুণদের রিল দেখতে বলছিলেন, কারণ তিনি তাঁদের মনোযোগ অন্য দিকে সরাতে চান যাতে তাঁরা বেকারত্বের মতো আসল বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন না তোলেন।’