এক যুগ পরে আলো দেখতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বোয়ালদার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ১৩ বছর ধরে কেন্দ্র চলছে। তবে নেই বিদ্যুতের সংযোগ। আলো, পাখার ব্যবস্থা আছে। কারেন্ট নেই, তাই সে সব কোনও কাজে দেয় না। অবশেষে সেই অন্ধকার দশা কাটতে চলেছে বলে আশা করছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত থেকে অভিভাবকরা। সৌজন্যে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবির।
এলাকায় বসেছিল ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবির। সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন দায়িত্ব নিয়ে আসা জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মণ্যম টি। প্রশাসনের লোকজন আসছেন শুনে, সেখানে সটান হাজির হন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী গঙ্গাশীল দাস।
গঙ্গাশীল জানান, তাঁদের সেন্টারে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। খুব সমস্যা হয়। একই সঙ্গে সেন্টারের পাঁচিল নিয়েও সমস্যা। সবটাই জেলাশাসককে বলেন। গঙ্গাশীল বলেন, ‘গরমকালে ক্লাস করতে খুব সমস্যা হয়। অনেক বার পঞ্চায়েতে গিয়ে জানিয়েছি। প্রধান বলেছেন বিডিও অফিসে জানাতেই সেখানেও আবেদন করে কাজ হয়নি। আজ তাই জেলাশাসককে বললাম।’
অভিযোগ পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মণ্যম টি। সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের বিডিও, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার-সহ অন্যান্য আধিকারিক। সেন্টারের বাচ্চা ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথাও বলেন। কেন এত বছর ধরে এখানে বিদ্যুৎসংযোগ নেই, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান কর্মসূচির মাধ্যমে এই সেন্টারে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ সেন্টারে সব কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে।’ কানেকশন চলে এলে বিল বাবদ মাসে ৫০০ টাকা করে টাকাও পাওয়ার কথা তাদের।
বোয়ালদার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রতিদিনই ৫০ জনের উপরে বাচ্চা আসে। একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও একজন অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা রয়েছেন। বোয়ালদার প্রাথমিক স্কুলের পাশেই রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
অভিভাবক প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী, শম্পা সরকাররা জানান, ২০১২ সালে এই ভবন তৈরি হয়। সেই সময়ে ঘরের ভিতরে আলো ও পাখা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু আজ অবধি আলোও জ্বলল না, পাখাও ঘুরল না। জেলাশাসকের উদ্যোগে যদি এ বার সেই সমস্যা মেটে, খুবই ভালো হয়।