জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'কেউ ভোট দেবে না'। নন্দীগ্রামে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার সাফ কথা, 'আমি চাই, ভাইপো পাঠান এখানে। চোর ভাইপো অভিষেককে এখানে দাঁড় করাক। এটাকে এখানে হারার, আর বড়টাতে ওখানে হারাব'।
কেরলে নির্মাণ নির্মাণকাজ চলাকালীন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লক বিরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভীমচরণ বারিক। পরিবারের দাবি, অভিষেকের উদ্যোগেই দেহ ফিরেছে বাড়িতে। মিলেছে আর্থিক সাহায্য। এদিন ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'কয়লা, গোরু চুরির টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বড় বড় কথা! কোটি টাকা দিলেও নন্দীগ্রামের কোনও হিন্দু মমতাকেও ভোট দেয়নি, ভাইপোকে যদি এখানে যদি দাঁড় করায় ভোট দেবে না। আমি চাই, ভাইপো পাঠান এখানে। চোর ভাইপো অভিষেককে এখানে দাঁড় করাক। এটাকে এখানে হারার, আর বড়টাতে ওখানে হারাব'।
তখন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা ভোটে তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর কাছে অবশ্য় ১৯৫৬ ভোটে হেরে যান তিনি। তৃণমূল নেতা দেবাংশুর ভট্টাচার্যের পালটা চ্যালেঞ্জ, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন নন্দীগ্রামে। ভবানীপুরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করুন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামের কথা বলছেন কেন? আপনার ক্ষমতা থাকলে, আপনি ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়ান'।
দেবাংশুর আরও বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরকার নেই, নন্দীগ্রামের যা অবস্থা হয়েছে, একজন সাধারণ বুথকর্মীকেও যদি তৃণমূল কগ্রেস প্রার্থী করে, তাহলেও শুভেন্দু অধিকারীকে হারানো সম্ভব। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে লাভ নেই। ক্ষমতা হলে আপনি একটু ভবানীপুরে আসুন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসুন। এসে দাঁড়ান। দেখান, নন্দীগ্রামের বাইরে বেরিয়ে আপনার অন্য জায়গায় থেকে দাঁড়িয়ে জেতার ক্ষমতা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গা থেকে বহুবার জিতেছেন। যাদবপুর থেকে জিতেছেন, দক্ষিণ কলকাতা থেকে জিতেছেন। ভবানীপুর থেকে থেকে বিধায়ক হয়েছেন। আপনি নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হচ্ছেন কেন, জেলা থেকে বেরোন। বুকের পাঠা তখনই তো দেখব। বড় বড় কথা সেখানেই বেরিয়ে যাব'।