• দমদমে গণধর্ষণ! ১৪র স্কুল ছাত্রীকে বস্তিতে তুলে নিয়ে গিয়ে তিন হায়নার লাগাতার থাবা শরীরে...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • রণয় তিওয়ারি: এবার দমদমে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। ইতিমধ্যেই ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে আটকে রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শহরতলীর বুকে ১৪ বছর বয়স নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করল দমদম থানার পুলিস। আজ তাদের ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন।

    গতকাল সন্ধ্যে কমলাপুর গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। টিউশন পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোয় সেই সময় তার এক পূর্ব পরিচিত বন্ধুর সঙ্গে কমলাপুর পার্কে বেশ কিছু সময় গল্প। অভিযোগ, এরপরই তিনবন্ধু মিলে জোর করে নাবালিকাকে টোটোতে তোলে। পালানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। অভিযুক্তরা নাবালিকাকে নিয়ে যায় দু’নম্বর মতিলাল কলোনির হরিজন বস্‌তিতে। সেখানকার একটি ঝুপড়িতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। 

    সূত্রের খবর, যে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন টোটোচালক। ধৃত ওই টোটোচালকের সঙ্গে বিগত কিছুদিন আগেই ওই স্কুল ছাত্রীর পরিচয় হয়। তারপরই গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায় টোটোচালক। পরবর্তীতে টোটোচালক ও তার বন্ধু ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই  স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়। পাশাপাশি সেই বাড়ির মালিকও ওই স্কুল পড়ুয়াকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    কোনওক্রমে অভিযুক্তদের হাত থেকে পালিয়ে বাড়ি ফেরে নাবালিকা। তাকে অসুস্থ-বিধ্বস্ত দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। চেপে ধরতেই সবটা জানায় নির্যাতিতা। রাতে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে মেয়ে সমস্ত কিছু জানার পর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দমদম থানায় পুলিস তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ অবৈধভাবে আটকে রাখা সহ একাধিক ধারায় মামলার রজু করা হয়েছে। 

    রাতেই দমদম থানায় লিখিত অভিযোগ করে নির্যাতিতা। অভিযোগ পেয়েই টোটোচালক-সহ ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, 'অভিযোগ পেয়েই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি'।

    পুলিস গ্রেফতার করে আজ ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে ধৃতদের নাম বিকি পাসওয়ান রাজেশ পাশওয়ান ও সঞ্জু সাউ-সহ ধৃতদের। 

    সঞ্জু সাউ ৩৫ বছর বয়স। দমদম থানা এলাকার বাসিন্দা। পেশায় টোটো চালক। বাড়িতে স্ত্রী এবং বছর দেড়েকের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, সঞ্জুর মধ্যে খারাপ কখনও কিছু দেখেননি বা কখনও শোনেননি তাঁরা। গতকাল রাতে পুলিস সঞ্জু কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। রাজেশ পাশওয়ানও দমদম থানা এলাকার মিলন পল্লীর বাসিন্দা। একবছর ধরে ভাড়া থাকে এখানে। পেশায় গাড়ির চালক। গতকাল রাতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

     

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)