• ‘লালুঘনিষ্ঠ’কে গুলি করে খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার হয়ে নীতীশের বাহুবলি নেতা বললেন, ‘সত্যমেব জয়তে’
    প্রতিদিন | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন সুরাজ পার্টির কর্মী দুলারচাঁদ যাদবের হত্যায় মূল অভিযুক্ত তিনি। পুলিশের অভিযোগ, মোকামার বাহুবলি নেতা অনন্ত সিংই নাকি গুলি চালিয়েছেন। সেই অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নীতীশ কুমারের দলের বাহুবলি নেতা অবশ্য বলছেন, সত্যের জয় হবে। তাঁর দাবি, ঘটনার সময় তিনি নাকি ঘটনাস্থলে ছিলেনই না।

    বিহারে নির্বাচন শুরুর ঠিক একসপ্তাহ আগেই খুন হন লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ দুলারচাঁদ যাদব। তিনি ইদানিং প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির হয়ে প্রচার করছিলেন। দুলারচাঁদ যাদব মোকামা তাল অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। মোকামায় তাঁর জন সুরাজের হয়ে প্রচার ক্ষতি করছিল জেডিইউ প্রার্থী অনন্তের। ভোট কাটার আশঙ্কাতেই তিনি দুলারকে সরিয়েছেন বলে অভিযোগ।

    মোকামায় জন সুরাজ পার্টির হয়ে লড়ছেন প্রিয়দর্শী পীযূষ। নিহত দুলার সম্পর্কে তাঁরই আত্মীয়। গত বৃহস্পতিবার প্রিয়দর্শীর সমর্থনে একটি মিছিলে দুলার ছিলেন। সেই মিছিল অনন্তের সমর্থনে আয়োজিত মিছিলের মুখোমুখি চলে আসে। গোষ্ঠীর মধ্যে আচমকাই সংঘাত শুরু হয়। চলে গুলিও। একটি গুলি এসে বিঁধে যায় দুলারচাঁদের বুকে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অভিযোগ, অনন্তের গুলি দুলারের পায়ের গোড়ালিতে লেগেছিল। তিনি পড়ে গেলে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় বৃদ্ধকে। তারপর একটা গাড়ি এসে তাকে পিষে দেয়। ময়নাতদন্তের ফুসফুস ছিঁড়ে পাঁজরের হাড় ভেঙে মৃত্যু হয়েছে দুলারের। এই মামলায় অনন্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    আসলে এই অনন্তের অতীত রেকর্ড তাঁকে সন্দেহের আওতায় নিয়ে চলে এসেছে। অনন্ত সিং বিহারে গ্যাংস্টার নেতা হিসাবে পরিচিত। ২০১৯ সালে অস্ত্র আইনে ১০ বছরের জেল হয়েছে তাঁর। পরে জামিনে ছাড়া পান। অনন্ত সিং আরজেডি-জেডিইউ (JDU) দুই দলেই থেকেছেন। আপাতত জেডিইউতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার অনন্ত সিং দাবি করেন, দুলারচাঁদ যাদব যেখানে দুই গোষ্ঠীর ঝামেলায় জড়িয়ে পরে, সেখান থেকে তিনি ‘অনেক দূরে’ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না কী ঘটেছিল, তবে আমার কিছু লোক অভিযোগ করেছে যে যাদবের অনুগামীরা তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে।’ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফেসবুক পোস্টে বাহুবলি অনন্ত বলেছেন, ” সত্যের জয় হবেই। এবার মোকামার মানুষ আমার হয়ে ভোটে লড়বে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)