অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: হস্তীশাবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা। শনিবার দুপুরে শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির মেরিভিউ চা বাগান থেকে দেহ উদ্ধার হয়। চা বাগানের শ্রমিকরা দেহটি দেখতে পেয়ে বনদপ্তরে খবর দেয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। বনকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, হাতির পালেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে হস্তীশাবকের।
শুক্রবার থেকে শিলিগুড়ি নকশালবাড়ি ব্লকের টুকুরিয়াঝার বন থেকে বাগডোগরা রেঞ্জে চলাচল শুরু করে একটি বিশাল হাতির পাল। ওই পালে অন্তত দেড়শো থেকে দুশো হাতি রয়েছে। পালটি চা বাগান দিয়ে মুভমেন্ট শুরু করেছি। পালটি যাতে কোনভাবে লোকালয়ে প্রবেশ না করে সেজন্য প্রথম থেকেই নজরদারি রেখেছিল বনকর্মীরা। হাতির গতিবিধি সামাল দিতে আশেপাশে বাগডোগরা, টুকুরিয়াঝার, পানিঘাটা, ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীদেরও কাজে লাগানো হয়েছিল। সারাদিন প্রচেষ্টার পর শনিবার সকালে ওই পালটিকে বাগডোগরার জঙ্গলে পাঠাতে সক্ষম হন বনকর্মীরা।
টুকরিয়াঝার জঙ্গল থেকে বাগডোগরার জঙ্গলে পাঠানোর সময় মেরিভিউ চা বাগানের একাংশ দিয়ে যায় ওই বিশাল হাতির পালটি। ওই পালটিতেই ছিল শাবকটি। চা বাগানে কাদায় ভরা এলাকায় কোনওভাবে আটকে যায় শাবকটি। পালে থাকা বাকি হাতি সেই সময় হস্তীশাবকের দিকে নজর দিতে পারেনি। সেই সময় সম্ভবত পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই শাবকটির। কার্শিয়াং বনবিভাগের ডিএফও দেবেশ পাণ্ডে বলেন, “হস্তীশাবকটির দেহ উদ্ধারের সময় কোনও ক্ষতচিহ্ন মেলেনি। শুক্রবার একটি বড় হাতির পাল ওই চা বাগান দিয়ে চলাচল করেছে। যখন কোন হাতির পাল যাতায়াত করে তখন এই ধরনের দুর্ঘটনায় শাবকের মৃত্যু হয়। আমাদের মনে হয়, এই শাবকটি ওই পালের সঙ্গে যাওয়ার সময় কোনভাবে কাদায় আটকে যায় ও পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” কীভাবে ওই শাবকের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন আধিকারিকরা।