বইয়ের গন্ধে মিশছে প্রযুক্তি, বনগাঁর স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি
প্রতিদিন | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য পদক্ষেপ। প্রযুক্তির সঙ্গে পুরনো বইয়ের গন্ধের মিশেল। এবার স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য আধুনিক ডিজিটাল পাঠাগার তৈরি হল। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাই স্কুলে খুলে গেল নতুন দিগন্ত। শনিবার এই স্কুলের ডিজিটাল পাঠাগারের উদ্বোধন হল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার-সহ অন্যান্যরা।
বনগাঁ হাই স্কুল এলাকার মধ্যে প্রসিদ্ধ। প্রতি বছর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ভালো ফলাফল হয় এই স্কুলে। সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তাঁর স্মৃতিতেই এই স্কুলে এবার ডিজিটাল পাঠাগার শুরু হল। আজকের সময়ে পড়ুয়াদের এই লাইব্রেরি পড়াশোনায় অনেকটাই আগ্রহ বাড়াবে বলে মনে করছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এই স্কুলের পাঠাগারে প্রচুর সংখ্যায় মূল্যবান রয়েছে। ছাপার বইয়ের সংখ্যা এই লাইব্রেরিতে প্রায় হাজার দশেক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য কবি, সাহিত্যিকদের লেখনী সম্ভার রয়েছে। স্কুলের পড়ুয়ারা এই লাইব্রেরিতে পড়াশোনাও করে। লাইব্রেরির প্রতি আরও বেশি মাত্রায় পড়ুয়াদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য সেটি ডিজিটাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। শেষপর্যন্ত বহু প্রতিক্ষিত ওই ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি হল। এই মুহূর্তে স্কুলের ওই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে হাজার পাঁচেক বইয়ের পিডিএফ রয়েছে। আগামী দিনে সেই পিডিএফের সম্ভার আরও বাড়ানো হবে বলে স্কুল সূত্রে খবর।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুণাল দে বলেন, “বহু দুষ্প্রাপ্য, পুরনো বই ডিজিটাল রূপে এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পড়ুয়াদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতেই এই উদ্যোগ।” স্কুলে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্লাসরুমেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে সেখানে পড়ুয়াদের পড়ানো হবে। আগামী দিনে স্কুলের ওয়েবসাইটে লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে লগইন করা যাবে। বাড়িতে থেকেই সেই পদ্ধতিতে ই-বুক পড়া সম্ভব হবে বলে স্কুলসূত্রে জানানো হয়েছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।