জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এসআইআর নিয়ে যুদ্ধ এবার বনগাঁর ঠাকুরবাড়ির অন্দরে! ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের মাধ্যমে মতুয়াদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি, এই অভিযোগে এসআইআরের বিরোধিতায় অনশনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। ৫ নভেম্বর থেকে মতুয়াদের ‘বড়মা’ বীণাপানি দেবীর ঘরের সামনে আমরণ অনশন শুরু করবেন তিনি। শনিবার তাঁর এই ঘোষণার পালটায় রবিবার নিজেদের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা। একইদিন অর্থাৎ ৫ নভেম্বর মমতাবালা ঠাকুরের ঘরের সামনে তাঁরাও অবস্থানে বসবেন বলে জানিয়েছেন। এই ঘোষণার ফলে স্পষ্ট, এসআইআর ঘিরে ঠাকুরবাড়ির একই উঠোনে ফের ফাটল।
আগামী ৫ নভেম্বর রাস উৎসব। রবিবার তার প্রস্তুতি বৈঠক করে মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা। সেই মঞ্চ থেকেই মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গায়েন হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ”শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুরকে নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করেছেন মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেছেন, ওদের জন্ম মিথ্যা। এই মন্তব্যের কথা স্বীকার করুন এবং এর জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি তা না চান, তাহলে আমরাও বলে রাখছি, ৫ নভেম্বরের পর থেকে মমতাবালা ঠাকুরের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করব। এইভাবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এনিয়ে মমতাবালা ঠাকুরের পালটা কটাক্ষ, ”শান্তনু ঠাকুররা ভালো করে ভিডিওটা দেখুন, শুনুন। তাঁরাই ২০১৯ সালে বলেছিলেন যে ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি মুক্ত করবেন। কিন্তু আজ কী হচ্ছে? আজ এসআইআর, সিএএ-র নামে লোকজনকে ভয় দেখানো হচ্ছে। রাজনীতি হচ্ছে। তাই আমি বলতে চাই, আমার কথা ভালো করে শুনুন। তাতে যদি মনে হয়, তাঁদের জন্ম নিয়ে আমি আপত্তিকর কিছু বলেছি, তাহলে তাঁরা তাঁদের মতো আন্দোলন করুক।” উল্লেখ্য, এসআইআর আবহে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ আশ্বাস দিয়েছিলেন, সিএএ অর্থাৎ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আওতায় সকলের নাগরিকত্ব থাকবে। তাতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।