শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: বাংলাদেশে গরু পাচার আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। পাচারকারীদের হামলায় গুরুতর জখম মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর-সহ দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার। বর্তমানে আহত পুলিশ কর্মীদের চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে ঘটনার পরেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে সারশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃত দুজনের নাম বাবর শেখ এবং রামি শেখ বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি গরু। শনিবার গভীর রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে।
সামশেরগঞ্জ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর আসে বাংলাদেশের দিকে প্রচুর গরু পাচার করা হচ্ছে। নিমতিতা-ধানঘড়া এলাকা দিয়ে গরুগুলিকে পাচার করা হচ্ছিল বলে খবর আসে পুলিশের কাছে। এরপরেই থানার সাব ইন্সপেক্টর দীপক দাসের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ কর্মী তল্লাশিতে নামে। স্থানীয় ধানঘড়া গ্রামে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। পুলিশের দাবি, সেই সময় তাঁরা দেখতে পান নদীর ধারে একাধিক গরুকে বেঁধে রাখা হয়েছে। পাচারের উদ্দেশ্যেই সেগুলিকে বেঁধে রাখা ছিল। পাচারকারীদের খোঁজ চালাতেই অতর্কিতেই পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
সূত্রের খবর, ঝোপের মধ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকা বেশ কয়েকজন পাচারকারী বেরিয়ে এসে নাজমুল হক এবং তারিকুল ইসলাম নামে সামশেরগঞ্জ থানার দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বেধড়ক মারতে থাকেন। আক্রান্ত হন সাব ইন্সপেক্টর দীপক দাসও। অন্যদিকে পুলিশকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধৃত রামি রাস্তায় পড়ে যান এবং মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে আরও পাচারকারীদের খোঁজ পেতে ধৃত বাবরকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ।