বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় জারি হয়েছিল লাল সতর্কতা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সান্দাকফু। পাহাড়ের আবহাওয়ার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। নিম্নচাপের মেঘ কেটেছে দার্জিলিংয়ের আকাশে। পর্যটকদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হল সান্দাকফু। আজ রবিবার থেকেই দার্জিলিং, শিলিগুড়ি থেকে মানেভঞ্জন হয়ে সান্দাকফু যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে প্রশাসন। বালাসন নদীতে জলের স্রোত ও জলতল অনেকতাই বেড়ে যাওয়ায় দুধিয়ার বিকল্প সেতু চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সেতুও ফের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে শিলিগুড়ি থেকে মিরিক যেতে পর্যটক ও স্থানীয়দের আপাতত আর ঘুরপথ ব্যবহার করতে হবে না।
অক্টোবরের শুরুতেই নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বিপর্যয় নামে। দার্জিলিংয়ের একাধিক এলাকা ধসে বিধ্বস্ত হয়। মিরিকে ধসে একাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। বহু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে ক্রমশ স্বাভাবিক হতে শুরু করে দার্জিলিংয়ের জনজীবন। তবে সদ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মন্থা অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত করে। সেই ঘূর্ণিঝড় পরে নিম্নচাপে পরিণত হয়। তার প্রভাব ফের পড়ে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। দার্জিলিংয়ের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়। নদীগুলিতেও জলস্তর বাড়ে। লাল সতর্কতা জারি করা হয় পাহাড়ে।
খারাপ আবহাওয়ায় পর্যটকরা যাতে আটকে না পড়েন সেজন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সান্দাকফু যাওয়ার রাস্তা। পর্যটকদেরও নামিয়ে আনা হয়। গতকাল, শনিবার থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। তারপরেই আজ, রবিবার থেকে খুলে দেওয়া হল সান্দাকফু যাওয়ার রাস্তা। দার্জিলিংয়ের সুকিয়া পোখরি বিভাগের আওতাধীন সন্দাকফু পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। পর্যটকরা ট্রেকিং করে সেখানে যান। অনেকে আবার গাড়ি করে সান্দাকফু পৌঁছন। এই মরসুমে বেশি সংখ্যায় পর্যটকরা সান্দাকফু যাবেন বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।