• অনলাইন প্রতারণার নেপথ্যে চীনা-যোগ, প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ!
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: সহজে ঋণের টোপ ও ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। নিত্যদিন এধরনের অভিযোগের বহর বেড়েই চলেছে। তদন্তকারীদের দাবি, অনলাইন প্রতারণা চক্রগুলিতে প্রাথমিকভাবে ভারতীয়রা যুক্ত থাকলেও নেপথ্যে রয়েছে চীনা নাগরিকরা। তারাই টাকা হাতানোর ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করছে। পড়শি দেশের ওই কিংপিনদের অঙ্গুলি হেলনেই একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই চীনা-যোগে আনুমানিক ২৮ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার হদিশ মিলেছে। তা খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণায় একচ্ছত্রভাবে চীনা নাগরিকরাই জড়িত। 

    প্রশাসন সূত্রে খবর, বিগত কয়েক বছরে লোনপ্রো, ফার্স্টক্রেডিট, স্মার্টরুপির মতো স্বল্পমেয়াদি অ্যাপগুলি জাঁকিয়ে বসেছে। তাদের নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, দেশের অন্তত ২০টি রাজ্যের কয়েক হাজার মানুষ এদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কীভাবে ফাঁদ পেতেছিল তারা? তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ব্যাংক বা অনুমোদিত সংস্থার থেকে ঋণ নেওয়ার ঝক্কি রয়েছে। তাই ‘ইনস্ট্যান্ট লোন’ বা তাৎক্ষণিক ঋণের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদ পাতা হত। লোন দেওয়ার সময় প্ল্যাটফর্ম ফি বাবদ ৩০-৪০ শতাংশ টাকা কেটে নিত তারা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কায়দায় ফোনের নিয়ন্ত্রণও প্রতারকদের হাতে চলে যেত। ফলে তাদের চাহিদা মতো মূল টাকার সঙ্গে মোটা অঙ্কের সুদ মেটাতে না পারলেই নানাভাবে হেনস্তা ও ব্ল্যাকমেল করা হতো। তদন্তে জানা গিয়েছে, চীনা নাগরিকরা গোটা পরিকল্পনা করত। সেসব বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকত তাদের ভারতীয় সহযোগীদের উপর। সেক্ষেত্রে এনবিএফসি ও ফিনটেকের ভুয়ো পরিচয়ের আড়ালেই আর্থিক তছরুপের কারবার চালাত প্রতারকরা। লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় ও বিদেশি পেমেন্ট গেটওয়েগুলিও যুক্ত রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। একাধিক ক্ষেত্রে প্রতারণার মোটা অর্থ  ঘুরপথে চীনে চলে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে।  ইতিমধ্যেই একাধিক ইনস্ট্যান্ট লোন ও ক্রিপ্টো সংস্থার খোঁজও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)