পাটনা: জন সুরাজ পার্টির সমর্থক দুলারচাঁদ যাদবকে খুনের ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত ভোটমুখী বিহার। শেষপর্যন্ত এই খুনে অভিযুক্ত মোকামা কেন্দ্রের জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করল পাটনা পুলিশ। সেইসঙ্গে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে মণিকান্ত ঠাকুর এবং রঞ্জিত রাম নামে আরও দুই অভিযুক্ত। শনিবার রাতে বাড়ের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় স্থানীয় বাহুবলী নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক অনন্তকে। আদালতে তোলা হলে অনন্তর জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁকে পাটনার বেউর জেলে রাখা হবে বলে সূত্রের খবর। ৬ নভেম্বর মোকামায় বিধানসভা নির্বাচন। এর মাত্র চারদিন আগে দলীয় প্রার্থীর গ্রেপ্তারিতে বিপাকে পড়েছে জেডিইউ।
অনন্তকে গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়ায় ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, ‘এটা আগেই হওয়া উচিত ছিল। বিহারে এখন জঙ্গল রাজ চলছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ খুন হচ্ছেন।’ আর দুলারচাঁদের নাতি জানিয়েছেন, যতদিন না পাঁচ অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝোলান হবে, ততদিন ব্রাহ্মণভোজন অনুষ্ঠান বন্ধ রাখবে পরিবার। প্রশাসনের সহযোগিতায় দাদুকে খুন করা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নীতীশ কুমারের দলের প্রার্থী অনন্ত। এদিন তাঁর ফেসবুকে পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ অনন্তকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘সত্যমেব জয়তে। মোকামার মানুষের প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই ভোট এবার লড়বেন মোকামার জনগনই।’ গত বৃহস্পতিবার মোকামার তাল এলাকায় প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সমর্থনে প্রচার করছিলেন দলীয় সমর্থক দুলারচাঁদ যাদব। সেখানেই জেডিইউ ও জন সুরাজ পার্টির কর্মী-সমর্থদের মধ্য সংঘর্ষ বেধে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দুলারচাঁদ। ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় বাহুবলী নেতা তথা জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিংয়ের উপর নজর রাখছিল পুলিশ। তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে অনন্ত, মণিকান্ত এবং রঞ্জিত ঘটনাস্থলের আশপাশেই হাজির ছিলেন। শনিবার মাঝরাতে পাটনার জেলাশাসক ত্যাগরঞ্জন এস এম এবং সিনিয়র পুলিস সুপার কার্তিকেয় শর্মা যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে তিনজনের গ্রেফতারির খবর জানান। ছবি: পিটিআই