বেগুসরাই: বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বিহারে ভোট প্রচারে উত্তেজনার পারদ ততই চড়ছে। রবিবার মগধভূমে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাজ্যের দুই প্রান্তের জনসভা থেকে একে অপরকে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ শানালেন দু’জন। তাঁদের ভাষণের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রইল ‘অপারেশন সিন্দুর’। রাহুলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদি যে শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভয় পান তা নয়, শিল্পপতিরাই তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করেন। পাল্টা মোদি এদিন কটাক্ষ করে বলেন, সিন্দুর অভিযান নিয়ে সকলে খুশি হলেও কংগ্রেস এবং আরজেডির তা পছন্দ হয়নি।
এদিন বেগুসরাইয়ের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে রাহুল বলেন ‘শুধুমাত্র বড়ো ছাতি থাকা মানেই আপনি শক্তিশালী নন। মহাত্মা গান্ধীকে দেখুন। তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। কিন্তু তিনি ব্রিটিশ শক্তিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদি ৫৬ ইঞ্চি ছাতি নিয়ে গর্ব করেন, অথচ ট্রাম্প অপারেশন সিন্দুরের সময় ফোন করলে প্রধানমন্ত্রী আতঙ্কে ভোগেন। আর দু’দিনের মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করে দেন। মোদিকে শিল্পপতিরা নিয়ন্ত্রণ করেন। জিএসটি আর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ছোটো ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিহারের জনতাকে রাহুলের আশ্বাস, ‘আমরা ছোটো ব্যবসায়ীদের উত্সাহ দিতে চাই। আপনাদের ফোন, টি-শার্ট থেকে ‘মেড ইন চায়না’র লেবেল বদলে ‘মেড ইন বিহার’ করতে চাই।’
অন্যদিকে, এদিন আরার জনসভায় নামনো করে গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণ পাকিস্তানে হয়েছে, অথচ এখানে কংগ্রেসের রাজপরিবার রাতে ঘুমোতে পারেনি। পাকিস্তান আর কংগ্রেস এখনও অপারেশন সিন্দুরের আতঙ্ক থেকে বেরোতে পারেনি।’ শুধু কংগ্রেস সহ বিরোধী জোটকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘নীতীশ কুমারের আমলে বিহার জঙ্গলরাজ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এনডিএ বিকশিত ভারতের অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আর কংগ্রেস এবং আরজেডি নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। এরা কখনই মানুষের ভালোর জন্য কাজ করবে না।’ মোদি এদিন দাবি করেন, আরজেডি কংগ্রেসের মাথায় কাট্টা (দেশি পিস্তল) ধরে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নাম ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। বিরোধীরা বিহারে অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।