• জনসুরক্ষা যোজনায় গ্রাহকের পেমেন্টে বিলম্ব, মানল কেন্দ্র
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের জনসুরক্ষা যোজনার আওতায় তিনটি প্রকল্প চালু আছে। সেগুলি হল—প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমা যোজনা এবং অটল পেনশন যোজনা। প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, ওই প্রকল্পগুলির ক্লেম পেতে বা হকের টাকা পেতে কালঘাম ছোটে সাধারণ মানুষের। নিজেদের সাফল্য তুলে ধরতে যে জনমুখী প্রকল্পগুলির লাগাতার প্রচার করে মোদি সরকার, সেগুলি নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগ কম নয়। এগুলির টাকা পেতে যে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হচ্ছেন, তা এবার মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি তার সমাধানে তারা প্রশাসনিক সংস্কারের পথেও এগোল।গ্রাহকদের একটা বড় অংশ পোস্ট অফিস থেকে ওই প্রকল্পগুলি কিনেছেন। কিন্তু ক্লেম পেতে তাঁরা হয়রান হচ্ছেন। প্রশাসনিক জটিলতাই যে তার অন্যতম কারণ, মেনে নিল ডাক বিভাগ। এখানকার কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওই তিনটি সুরক্ষা যোজনার আওতায় যে ক্লেমগুলি ডাকঘরে জমা হয়, এতদিন পর্যন্ত সেগুলি সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হতো চেন্নাইয়ের সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন সেন্টারে। দেখা যায়, ক্লেমের সঙ্গে যে যে নথি দেওয়ার কথা গ্রাহকের, তা বহু ক্ষেত্রেই দেওয়া হয় না। এমনকি কোন কোন নথি জমা করতে হবে, সেই বিষয়ে ডাকঘরও আবেদনকারীকে যথাযথ পরামর্শ দেয় না, অভিযোগ এমনই। ক্লেম সংক্রান্ত যে ফর্ম থাকে, সেগুলিও যথাযথভাবে পূরণ হয় না। স্বাভাবিকভাবেই সেই ক্লেমের আবেদনগুলি পোস্ট অফিসে ফেরত চলে আসে। নতুন করে আবার নথি জমা করা ও ফর্ম পূরণ করায় বিষয়টিতে অহেতুক বিলম্ব হয়। দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে কোনও পোস্ট অফিস আর এই ক্লেমের আবেদন চেন্নাইয়ে পাঠাবে না। তা সবার আগে দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানের কাছে পাঠানো হবে। সেই আধিকারিক  মিলিয়ে দেখে নেবেন, আবেদনগুলি যথাযথভাবে পূরণ হয়েছে কি না এবং সেগুলি দপ্তরের নিজস্ব সফটওয়্যারে নিয়ম মেনে আপলোড হয়েছে কি না। কোন ক্লেমের জন্য কী কী নথির প্রয়োজন, সেগুলিও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যাতে কোনওভাবেই আবেদনকারী হয়রানির শিকার না হন। ডাক বিভাগের কর্তাদের কথায়, এই বিষয়ে প্রতিটি ডাকঘরে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায়, এতে সুরক্ষা প্রকল্পগুলির ক্লেম প্রাপ্তিতে গতি আসবে।
  • Link to this news (বর্তমান)