• শংসাপত্র পেতে লাগবে না তৎকাল ফি, বৈঠকে সিদ্ধান্ত, মিলবে তিন থেকে সাতদিনের মধ্যে, জানাল কর্তৃপক্ষ
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মালদহ: আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পড়ুয়াদের বিভিন্ন ধরণের শংসাপত্র দেওয়ার তৎকাল পরিষেবা আপাতত স্থগিত রাখল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে, আবেদন করার তিনদিন থেকে সাতদিনের মধ্যে এই শংসাপত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। সেক্ষেত্রে তৎকাল ফি দিতে হবে না। ৫০০ টাকার সাধারণ ফি দিলেই তিন থেকে সাতদিনের মধ্যে মিলবে শংসাপত্র। 

    এদিন ছুটি থাকলেও শংসাপত্র প্রদানের বিষয়টি নিয়ে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত বলে পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগের একটি সূত্র। এমন পরিস্থিতিতে তৎকাল ফি দিলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শংসাপত্র প্রদান সম্ভব নয় বলে জানা গিয়েছে। তাই আপাতত তৎকাল পরিষেবা স্থগিত রেখে সাধারণ ফি নিয়েই শংসাপত্র প্রদান করা হবে। সেক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টা থেকে সাতদিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিভাগীয় প্রধান বলেন, এদিনের বৈঠকে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ডিন, অন্যান্য আধিকারিক এবং বিভাগীয় প্রধানরা অংশ নেন। সেখানেই শংসাপত্র প্রদান সংক্রান্ত নতুন নীতি গৃহীত হয়েছে। আজ সোমবার শংসাপত্র প্রদান সম্পর্কে নতুন সিদ্ধান্ত নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে আমাদের বলা হয়েছে। 

    বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন শংসাপত্র পাওয়ার জন্য প্রায় চার হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ফলে তৎকাল ফি নিয়েও একদিনের মধ্যে শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আমরা ওই ফি নিচ্ছি না। সাধারণ ফি ৫০০ টাকা দিলেই শংসাপত্র দেওয়া হবে। আমরা চেষ্টা করছি তিন থেকে সাতদিনের মধ্যে আবেদনকারীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিতে।

    ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে একদিনের মধ্যে শংসাপত্র দেওয়া হলেও সাধারণ ফি (৫০০ টাকা) দিলে দীর্ঘ সময় লাগছে বলে একটি ভিডিওয় (সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমান) সম্প্রতি অভিযোগ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। শুরু হয় সমালোচনা। জেলা প্রশাসনের তরফেও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। ঘটনাক্রমে নজর রাখছিলেন জেলাশাসকও। তার পরের দিনই শংসাপত্র প্রদানের তৎকাল পরিষেবা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

    তবে, অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাসের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগের সুপারিশ এবং এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের অনুমোদন এবং সিদ্ধান্ত মেনেই ওই তৎকাল পরিষেবার ফি নেওয়া হয়। প্রদত্ত ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে  জমা পড়ে। 

    এদিনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাম্প্রতিক ভিডিও বিতর্কের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কথা আমাদের কানেও এসেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসিয়ালি নোটিশ দিলে তবেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। আমরা চাই কম অর্থের বিনিময়ে পড়ুয়ারা দ্রুত পরিষেবা পান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবিকই নিয়ে থাকলে আমরা ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)