• আগামী শুক্রবার বোল্লা মেলা, জেলার অধিকাংশ হোটেলেই বুকিং শেষের পথে
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: আগামী শুক্রবার বালুরঘাটের ঐতিহ্যবাহী বোল্লা মেলায় কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। তার আগে শহরে হোটেলগুলিতে রুম বুকিং প্রায় শেষ। গঙ্গারামপুর শহরের হোটেলগুলিতেও একই ছবি।

    হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর, এবছর বাংলাদেশিরা খুব একটা হোটেল বুক করেননি। তাঁদের বক্তব্য, সারা বছর সেভাবে ব্যবসা না হলেও বোল্লা মেলা উপলক্ষ্যে প্রচুর পুণ্যার্থী আসেন। এই সময়ইে তাঁদের লক্ষ্মীলাভ হয়। 

    বালুরঘাট শহরে এসেছিলেন শিলিগুড়ির সুমি সরকার। বলেন, প্রতি বছর বোল্লা মেলা দেখতে আসি। সেজন্য আগে থেকে হোটেল বুক করে রাখি। এবছর কালীপুজোর পর থেকে কোনও হোটেলে রুম পাচ্ছি না। সব জায়গায় বুকিং শেষ হয়ে গিয়েছে। ভাবছি এক বন্ধুর বাড়িতে থাকব।

    প্রতি বছর হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ভক্ত বালুরঘাটে আসেন। এ বছর ওপার বাংলার ভক্তদের এখনও সেভাবে দেখা মেলেনি। তাঁরা সেভাবে বুকিংও করেননি। বালুরঘাট শহর  ও আশেপাশে ২৫টির বেশি হোটেল রয়েছে। বালুরঘাট তো বটেই, গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর শহরেও বোল্লা মেলা উপলক্ষে হোটেলের বুকিং প্রায় শেষ।

    চাহিদা বাড়তে থাকায় হাসি ফুটেছে হোটেল ব্যসায়ীদের। বালুরঘাটের বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি হোটেলের মালিক  বলেন, আমাদের সমস্ত রুম বুক হয়ে গিয়েছে। হোটেলে আর জায়গা নেই। এখনও অনেক ভক্ত আসছেন। কিন্তু রুম না পেয়ে তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন। আমাদের হোটেলের যা ভাড়া ছিল, সেটাই রয়েছে। পুজো বলে বাড়ানো হয়নি। যদি কোনও ভক্ত শুক্রবার চলে আসেন, তাঁদের থাকার জন্য ছাদে ব্যবস্থা করে দেব।

    আগামী শুক্রবার সকাল থেকেই বোল্লা মন্দির চত্বরে অগণিত ভক্তের ঢল নামবে। তার আগে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা বালুরঘাটে আসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের ভক্ত সংখ্যাই বেশি। এছাড়া আসাম, ত্রিপুরা থেকেও অনেকে পুজো উপলক্ষ্যে হোটেল বুক করেছেন। এদিকে পুজোর প্রস্তুতিও তুঙ্গে। প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। ব্যবসায়ীরাও দোকান দিতে শুরু করেছেন। সোমবার প্রশাসনের বৈঠক রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। বোল্লা পুজো ও মেলার ট্রাস্টের সদস্য অর্ঘ্য সরকার বলেন,  মেলার জন্য সবরকম প্রস্তুতি চলছে। সোমবার বৈঠক হবে।

    বালুরঘাটের বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি হোটেলের ম্যানেজার মানক দেব চৌধুরীর কথায়, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের নানা জায়গা থেকে লোকজন আসছেন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ রুমের জন্য ফোন করছেন বা এখানে এসে খোঁজ করছেন। বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে না। তবে, এবার আমাদের হোটেলে বাংলাদেশের কেউ আসেননি। সারা বছর তেমন ব্যবসা হয় না। পুজো পর্যটনের দিকেই তাকিয়ে থাকি।

    ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শহরের আরেক হোটেলের ম্যানেজার রঞ্জিত মহন্ত। তাঁর দাবি, কালীপুজোর পর থেকে বুকিং বেশি শুরু হয়েছে। তার আগে কিছু বুকিং হয়েছিল। সারা বছর যা ভাড়া নেওয়া হয়, সেই রেটই রয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)