• দু’বছর আগেই মেয়াদ ফুরিয়েছে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের, বেহুঁশ পুরসভা
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: হলদিবাড়ি পুরসভার দেওয়ালে ঝুলছে মেয়াদ উত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। যেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেন শতাধিক কর্মী। বিভিন্ন দপ্তরে রাখা হয় পুরবাসীর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। তারপরেও পুর কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলায় উঠছে প্রশ্ন। 

    হলদিবাড়ি পুরসভার আগুন নেভানোর যন্ত্রগুলির মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে দু’বছর আগে। কিন্তু শুধুমাত্র দেখভালের অভাবেই সেগুলি বদলানো হয়নি, না নিজেরাই ইচ্ছাকৃতভাবে রেখে দিয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। হঠাৎ করে পুরসভায় কোনও দুঘটনা ঘটলে যা দিয়ে আগুন নেভানোর কথা, সেই অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রগুলি আদৌ কাজ করবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। 

    হলদিবাড়ি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে প্রায় আড়াইশো কর্মী কাজ করেন। হঠাৎ আগুন লাগলে দমকল আসার আগে প্রাথমিকভাবে কাজ করতে একাধিক বিভাগের দরজার পাশে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের রুম সহ বিভিন্ন জায়গায় আছে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। সবগুলিরই দু’বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তারপরও ওসব পরিবর্তন করেনি পুরসভা। 

    হলদিবাড়ি শহরেরই বাসিন্দা পুরসভায় প্রয়োজনীয় কাজে আসা রাজা রায় বলেন, সাধারণ মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন কাজের জন্য পুরভবনে আসে। পুরসভায় সকাল থেকে কাজ করেন কর্মচারীরা। পুরসভায় আমাদের শহরবাসীর বিভিন্ন নথিপত্র জমা থাকে। পুরসভারই যদি গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়ে চলে তাহলে ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলি কী করবে! 

    হলদিবাড়ি দমকল বিভাগ সূত্রে খবর, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান বা অফিসে মূলত চার রকমের সিলিন্ডারে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকে। তারমধ্যে একটি হল ফোম। এগুলি ব্যবহারের সময়সীমা একবছর। ফোম সিলিন্ডারগুলিই রয়েছে হলদিবাড়ি পুরসভায়। যদি ফোম নিয়মমাফিক না পাল্টানো হয় তাহলে আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে তা কাজ না করারই কথা। 

    যদিও হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান শংকরকুমার দাস বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ওসব বদলে দেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)