সংবাদদাতা, করিমপুর: জ্বলে না আলো। চলে না ফ্যান। একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা করিমপুর ২ ব্লকের নতিডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীদের। বাধ্য হয়েই বাড়ি থেকে টেবিলফ্যান এনে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে রোগীদের! সুস্থ হতে এসে আরও অসুস্থ হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ভর্তি রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। এই হাসপাতালের সুপারও নিয়মিত আসেন না বলে রোগীর পরিবারের অভিযোগ। হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই করিমপুরের নতিডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের ফ্যানগুলি অচল হয়ে রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের প্রতিদিন চরম সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রোগীরা জানান, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি থাকলেও দু’টি ওয়ার্ডেই বেশিরভাগ ফ্যান দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে বন্ধ ঘরে হাঁসফাঁস অবস্থা রোগীদের। ঘরের আলো নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে বারবার জানানো হলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। উল্টে হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে, রোগীর গরম লাগলে বাড়ি থেকে ফ্যান নিয়ে আসতে হবে। করিমপুর ২ ব্লকের নতিডাঙা গ্রামীণ নারায়ণপুর গোপালনগরের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল বলেন, দু’দিন আগে অসুস্থতার জন্য গর্ভবতী স্ত্রীকে এই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। রাতে আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যায়। শরীরে অস্বস্তি শুরু হয় ও প্রচণ্ড গরম লাগে। কিন্তু ওই ঘরের দু’টি ফ্যান চললেও বাকি চারটি বন্ধ ছিল। যে ফ্যান দু’টি চলছিল, সেখানে অন্য রোগী থাকায় বাকিরা গরমে কষ্ট পাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর শরীর আরও খারাপ হওয়ায় এখান থেকে ডোমকল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হই। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের এই সমস্যার কথা যাঁকে জানাবেন সেই সুপারকেও হাসপাতালে দেখা যায় না বলেই দীর্ঘদিনের অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। এদিনও হাসপাতালে দেখাও যায়নি সুপারকে। একই কথা বলেন নতিডাঙা মথুরাপুরের নওসাদ শেখ। তিনি বলেন, প্রসব যন্ত্রণা হওয়ায় স্ত্রীকে শনিবার নতিডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু ঘরে আলো নেই, তেমনই পাখা না থাকায় গরমের সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালে নিজের রোগীর জন্য অনেকে বাড়ি থেকে স্ট্যান্ড ফ্যান নিয়ে গিয়েছেন। হাসপাতালের সুপার গত প্রায় চার মাস আসেন না। এই ব্যাপারে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মহুয়া মৈত্রের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান বলেন, ফ্যানগুলো পুরনো হওয়ার জন্য মাঝে মাঝেই খারাপ হয়ে যায়। নতুন ফ্যান কেনার প্রয়োজন। তহবিলে সেই টাকা নেই। আগামী রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা করে নতুন পাখার ব্যবস্থা হবে। -নিজস্ব চিত্র