• এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ হতে পারে অঙ্গরাজ্য, বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের মন্তব্যে শোরগোল
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ অঙ্গরাজ্য হতে পারে। রবিবার বর্ধমানে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তখন কাঁটাতারেরও দরকার হবে না বলে তিনি সাফাই দেন। রবিবার জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় উন্নতি হবে। বাংলাদেশ অঙ্গরাজ্য হতে পারে। আমরা ধর্মন্ধতা মানি না। কোনও ধর্মের জন্য রাজনীতি করি না। আমরা যদি বাংলায় আসি উন্নয়নের বিজ্ঞাপন দিতে হবে না। সোনার বাংলা করব। আগামী দিন মুসলিমরা হাতে হাত ধরে কাজ করবে। বাংলার উন্নতি দেখে বাংলাদেশ ৮বলবে আমরা বিদেশে থাকব না। তারাও আমাদের সঙ্গে চলে আসবে। কাঁটাতারের বেড়া লাগবে না। ভবিষ্যতে কাঁটাতার থাকবে না। তবে আপাতত কাঁটাতার রাখতে হবে। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে কাঁটাতার রাখতে হবে। তা না হলে অস্তিত্ব সংকট হয়ে যাবে। জঙ্গিরা এসে দখল করবে। কিন্তু, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেটা দরকার হবে না। ভবিষ্যতে কাঁটাতার থাকবে না। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন দেখে বাংলার সঙ্গে আসার দাবি জানাবে। আগে আমরা বাংলা দখল করি। আমরা জোর করে বাংলাদেশ নিতে চায় না। তবে ওপারের মানুষ এখানে আসার জন্য আন্দোলন করবে। 

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এসআইআর নিয়ে গেরুয়া শিবিরে শাঁখের করাতের অবস্থা হয়েছে। বহু মতুয়া ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার আভাস তারা পেয়েছে। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই সাফাই দিতে তাদের নেতাদের এই সমস্ত মন্তব্য করতে হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এতদিন বিজেপি নেতারা দাবি করে আসছিলেন, বাংলাকে কখনওই বাংলাদেশ হতে দেব না। এখন আবার তাদের নেতারাই বাংলাদেশকে অঙ্গরাজ্য করার দাবি জানাচ্ছে। তা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। এদিন জেলা পার্টি বসে দলের মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার অবশ্য বলেন, মতুয়া বা নমশুদ্রদের পাশে আমরা রয়েছি। তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছি। বিরোধী দলগুলি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, বিজেপি নেতারা কী চাইছে সেটা ওরা নিজেরাই জানাচ্ছে। কখনও তারা রাজ্যের মানুষকে বাংলাদেশ পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। আবার কখনও বাংলাদেশকে অঙ্গরাজ্য করতে চাইছে। ভোটে হারার আতঙ্কে তারা পাগল হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এসব মন্তব্য করছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)