• দুবরাজপুরে রেলের জায়গায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদের নোটিশ, আন্দোলনে নামল তৃণমূল
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: এমনিতেই রেলের জায়গায় বসবাসকারী দোকানদারদের উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে রেল। তার উপর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঠাকরুন বাঁধ(পুকুর) যাওয়ার রাস্তাও ঘিরে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। এই পুকুরেই শহরের দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। ফলে সমস্যায় পড়বেন বাসিন্দারা। এরই প্রতিবাদে রবিবার অবস্থান বিক্ষোভ করল দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস। সেইসঙ্গে স্টেশন ম্যানেজারকে ডেপুটেশনও দিয়েছ তৃণমূল।

    তৃণমূলের অভিযোগ, দুবরাজপুর পুর এলাকার সিংহভাগ দুর্গাপুজোর দোলা আনা এবং দোলা বিসর্জন করা হয় এই ঠাকরুন বাঁধে। এই পুকুর রেলের নয়। কিন্তু সেই পুকুরে যেতে গেলে রেলের জায়গার উপর দিয়েই যেতে হয়। সেই রাস্তা ঘিরে দেওয়ার ফলে দুর্গাপুজোর দোলা আনা এবং বিসর্জনে চরম সমস্যায় পড়তে হবে পুজো উদ্যোক্তাদের। তারই প্রতিবাদে এদিন স্টেশনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে তৃণমূল। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের দুবরাজপুর শহর সভাপতি স্বরূপ আচার্য, দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে, ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা সৌকত আলি সহ অন্যান্য কাউন্সিলার ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এছাড়াও এদিনের বিক্ষোভে দুবরাজপুর শহরে বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো কমিটিও ছিল।

    এনিয়ে শহর সভাপতি স্বরূপ বলেন, দুবরাজপুরে রেল লাইন আসার আগে থেকেই ঠাকরুন বাঁধে দোলা বিসর্জন হচ্ছে। কিন্তু সেই পুকুরে যাওয়ার রাস্তা রেল ঘিরে দিয়েছে। আমাদের একটাই দাবি, রেল নিজের জায়গা অবশ্যই ঘিরতে পারে। কিন্তু রেলের এই পদক্ষেপ যেন আমাদের ধর্মে আঘাত না করে। বিজেপি নিজেদের ধর্মের রক্ষক বলে প্রচার করে। অথচ তাদেরই সরকারের অধীনে থাকা রেলমন্ত্রক আমাদের ধর্মপালনে বাধা দিচ্ছে। রেল যদি ওই রাস্তা আমাদের ব্যাবহার করতে না দেয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। 

    ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা সৌকত আলির হুমকি, আমাদের আন্দোলন চলবে। যদি দেখা যায় আগামী বছর দুর্গাপুজোর সময়েও ওই বাঁধে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকে, তাহলে আমি দুবরাজপুর শহরে সমস্ত পুজো কমিটিদের ওই ব্যারিকেড ভেঙে দিতে বলব। বাকিটা আমরা সামলে নেব। কারণ বাংলায় পুজো বন্ধ হয়নি, দুবরাজপুর শহরেও হবে না। এনিয়ে রেলের স্টেশন ম্যানেজার এসকে চৌধুরী অবশ্য বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণেই ওই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দুবরাজপুর শহরের রেল ব্রিজ ঘেঁষে থাকা ব্যবসায়ীদের উঠে যেতে নির্দেশ দিয়েছে রেল। ওই এলাকায় বহু দোকানদার রয়েছে। মালিকদের দোকান উঠিয়ে নেওয়ার জন্য রেলের তরফে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার উপর এই ঠাকরুন বাঁধে যাওয়ার রাস্তাও ঘিরে ফেলা হয়েছে। সব মিলিয়ে রেলের উপর এইমুহূর্তে চরম ক্ষুব্ধ শহরের বাসিন্দারা।
  • Link to this news (বর্তমান)