নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে তৃণমূলের কোন্দল চরমে উঠেছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ ও আরাবুল ইসলাম। রবিবার প্রকাশ্য সভা থেকে তাঁদের পাল্টা নিশানা করেন শওকত। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শওকত বলেন, ‘২০২১ সালে দালালি করে ভাঙড় বিধানসভা আইএসএফের হাতে তুলে দিয়েছিলেন যাঁরা, আজ তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন। ভাঙড় আজ ইউনাইটেড। এখানকার মানুষকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে ৮৭ হাজার ভোটের লিড দিয়েছিলাম। আর এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় বিধানসভায় তৃণমূল এক লক্ষ ভোটে জিতবে। এটাই শপথ, এটাই লক্ষ্য। বাকিটা আমার উপর ছেড়ে দিন।’ এরপরই নাম না করে কাইজারকে নিশানা করেন তিনি। তুলে আনেন জমি দখলের প্রসঙ্গ। ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকের কথায়, ‘যাঁরা জমির দালালি করে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে, তাঁদের কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই। এরা নিজেদের বাড়ির চাকর, গাড়ির ড্রাইভারকে খাস জমির পাট্টা দিয়ে সেটা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। সময় আসছে, তৈরি থাকুন। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া হবে। দখল করা জমি গরিব মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’ যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কাইজারের দাবি, তিনি কাউকে কোনও জমির পাট্টা পাইয়ে দেননি। বরং যিনি অভিযোগ করছেন, তাঁর নির্দেশে বানতলায় সাড়ে তিনশো বিঘা সরকারি জমি অবৈধভাবে একটি কোম্পানিকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় শওকত বনাম কাইজার-আরাবুল জুটির বাগযুদ্ধে ভাঙড় সরগরম। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলছে। এই বাগযুদ্ধ কোথায় গিয়ে থামে, সেদিকে কৌতূহলী নজর রয়েছে ভাঙড়বাসীর।