• ‘পরকীয়া’ সন্দেহে ঠাকুরপুকুরে স্ত্রীকে থেঁতলে খুনের চেষ্টা, ধৃত
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: স্ত্রী কারও সঙ্গে পরকীয়া করছেন। এই সন্দেহে স্ত্রীকে কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে থেঁতলে খুনের চেষ্টা করলেন স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই বধূকে। তাঁর নাম কাজল বালা (৩৮)। ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী মিলন বালাকে গ্রেফতার করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ।

    পরকীয়ার সন্দেহ থেকে মাঝেমধ্যেই ওই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তা থেকেই পারিবারিক বিবাদ এবং তার জেরে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মিলনকে গ্রেফতার করে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, শনিবার রাতে স্ত্রী কাজল বালার (৩৮) উপর হামলা চালান তিনি। তারপর নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বধূ এখন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ স্বামী–‌স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তখনই রাগের বশে মিলন একটি সিমেন্টের স্ল্যাবের টুকরো দিয়ে কাজলের মাথায় আঘাত করেন। তারপর স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে ফেলে রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা ঠাকুরপুকুর থানায় পৌঁছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি পুলিশকে জানান, ‌স্ত্রীকে শেষ করে দিয়েছি‌। অভিযুক্তের পরনের জামাতেও রক্তের দাগ লেগেছিল। এরপরই মিলনকে নিয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এদিকে, হামলার ফলে কাজলের মাথা, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর চোট লাগে। তাঁকে প্রথমে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে, অপরাধে ব্যবহৃত সিমেন্টের টুকরো–‌সহ গুরুত্বপূর্ণ সব প্রমাণ ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।

    এরপর কাজলের মা গীতা হালদার জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘদিন ধরেই মিলন নিজের স্ত্রীর উপর সন্দেহ করতেন। এনিয়ে প্রায়শই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। অভিযুক্তকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। আর ওই বধূর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁরও বয়ান নথিভুক্ত করবে পুলিশ।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)