কসবা-রাজডাঙায় এক কাঠা জমির দাম এক কোটি! নিলামে খদ্দের পেল না কেএমডিএ
বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোথাও মাত্র ০.৭৫ কাঠা জমির দাম ৮১ লক্ষ টাকা! কোথাও আবার ১.৫৭ কাঠা জমির দাম ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা! শুনে চোখ কপালে উঠলেও এটাই সত্যি খোদ কলকাতার বুকে। আইজিআর ভ্যালুতে কসবা, রাজডাঙা এলাকায় জমির দাম এমনই দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এত ছোট সাইজের জমি এত বেশি দামে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য কেনার খদ্দের মিলছে না। এই অবস্থায় কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) মাথায় হাত পড়েছে। দাম কিছুটা কমিয়ে জমি বিক্রি করা যায় কি না, তার জন্য নবান্নের বিশেষ অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কয়েক মাস আগে একটি কেন্দ্রীয় সরকারি নিলাম সংস্থা মারফত কসবা শান্তি পল্লি রোড ও রাজডাঙা মেইন রোডে খালি পড়ে থাকা মোট ৯টি জমি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বেচতে ই-অকশন বা অনলাইনে নিলাম ডেকেছিল কেএমডিএ। সেখানে ০.৭৫ কাঠা আয়তনের চারটি জমির প্রতিটির দাম (বেস প্রাইস) রাখা হয়েছে ৮১ লক্ষ টাকা করে। একই আয়তনের অন্য দু’টি জমির দাম রাখা হয়েছে ৭৭ লক্ষ টাকা করে। ০.৮৮ কাঠার একটি জমি বেস প্রাইস ধরা হয়েছে ৯৫ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, ১.৭৬ কাঠা ও ১. ৫৭ কাঠা আয়তনের দু’টি জমির দাম রাখা হয়েছে যথাক্রমে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ও ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ নিলামে মোট ন’টি জমির বেস প্রাইস হচ্ছে প্রায় ৯ কোটি টাকা (৮ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা)। স্বাভাবিকভাবেই এই বিপুল দামে এত কম আয়তনের জমি কেউ কিনতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে ফাঁপরে পড়েছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এক অফিসার বলেন, ‘এত দাম দিয়ে কে জমি কিনবে বলুন তো! তাও আবার সেটা যদি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। কারণ, এত ছোটো জায়গায় তো ব্যবসা হওয়া সম্ভব নয়। আইজিআর ভ্যালুর বাইরে গিয়ে তো আমাদের পক্ষে কোনও জমির দাম নির্ধারণ সম্ভব নয়। তাই সেখানে এই ছোট ছোট জমির যা দাম দেখিয়েছে, সেটাই নিলামে বেস প্রাইস রাখতে হয়েছে। জমি যখন বেচা যাচ্ছে না, তখন বেস প্রাইস কিছুটা কমিয়ে যদি বিক্রি করা যায়, সেটাই দেখা হচ্ছে। তার জন্য নবান্নের অনুমোদন প্রয়োজন। প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।’