• খোঁজ নেই হবু স্বামীর, অভিযোগ দায়ের করতে হয়রানির শিকার বাগদত্তা, তিন থানায় ঘুরে ডায়েরি রাত ১২টার পর!
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বেঙ্গালুরু থেকে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন এক যুবক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাগদত্তা। কিন্তু এটিএম থেকে টাকা তুলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তরুণীর হবু স্বামী! তিনি কোথায় গেলেন, দ্রুত খোঁজ পেতে ভরসন্ধ্যায় পুলিশের কাছে দৌড়ন বাগদত্তা। কিন্তু ডায়েরি নেওয়ার বদলে তাঁকে এক থানা থেকে অন্য থানায় চরকির মতো ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ। বিধাননগর কমিশনারেটের তিনটি থানা ঘুরে নিখোঁজ ডায়েরি হয় রাত ১২টার পর! এই ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে। অনেকে বলছেন, একজন অসহায় মহিলাকে এভাবে থানায় থানায় ঘুরতে হল কেন? শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় তদন্তেও দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ। দ্রুত খোঁজ শুরু হলে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হত বলে দাবি অনেকের। 

    জানা গিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম মৈনাক দাস। বছর ৩২-এর মৈনাক বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। শনিবার রাতেই বেঙ্গালুরু ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। রাজারহাট এলাকার একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন তাঁরা দু’জন। ওইদিন সন্ধ্যায় মৈনাক এটিএম থেকে টাকা তুলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। বিকেলে ৪টা ৫০ মিনিটে বের হয়েছিলেন তিনি। ফিরে না আসায় ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁর বাগদত্তাো। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি।

    তরুণী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যার মধ্যেই প্রথমে তিনি ইকোপার্ক থানায় যান। সেখানে তাঁকে বলা হয়, যেখানে টাকা তুলতে গিয়েছেন, সেই এলাকাটি নারায়ণপুর থানার অধীনে। তখন তিনি ইকোপার্ক থানা থেকে নারায়ণপুর থানায় যান। সেই থানা আবার জানায়, ওই এটিএম কাউন্টার বাগুইআটির মধ্যে পড়ে। সেখানকার থানায় যেতে হবে। তরুণী নারায়ণপুর থেকে বাগুইআটিতে যান। বাগুইআটির এক অফিসার তরুণীকে বলেন, ‘ওই এটিএমেই টাকা তুলতে গিয়েছিলেন, আপনি জানলেন কীভাবে?’ 

    তখন তিনি আবার নারায়ণপুর থানায় ফিরে যান। তখন রাত ১২টা পার হয়ে গিয়েছে। অবশেষে নারায়ণপুর থানার পুলিশ তাঁর ডায়েরি নেন। তদন্ত শুরু হয়। এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারেটের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ঘটনাস্থলটি নারায়ণপুর থানার অধীনেই। সেখানে অভিযোগ হয়েছে। যুবকের খোঁজ চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)