নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গণ আন্দোলন ঝান্ডা কাঁধে হবে নাকি ঝান্ডা ছাড়াই? ভোটের আগে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছে বঙ্গ সিপিএম। সেই দ্বিধা নিয়েই, ‘আমার সোনার বাংলা’ ইশ্যুতে মঙ্গলবার যাদবপুরে ঝান্ডা ছাড়াই পথে নামছে বামেরা। সেইদিনেই তাঁরা নামবেন, যেদিন আলিমুদ্দিন দুপুর ও সন্ধ্যায় পাড়ায় পাড়ায় ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়ার ডাক দিয়েছে। তাহলে কি যাদবপুর অস্বস্তি বাড়াল? এক নেতা বলছেন, পার্টি কর্মসূচিও পালিত হবে আবার ঝান্ডা ছাড়া মিছিলও হবে। সেদিনই যে বিজেপি-তৃণমূলও পথে নামবে। তবে ফের অস্বস্তি বাড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোষ্ঠী কোন্দল। সূত্রের খবর, যাদবপুর দক্ষিণ ১ এরিয়া কমিটিতে ৬৫ জন সদস্য পদ থেকে ইস্তফার চিঠি দিয়েছেন।
বিজেপি শাসিত অসমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়ার জন্য দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আগামী ৪ নভেম্বর পাড়ায় পাড়ায় ওই গান গাওয়ার ডাক দিয়েছে সিপিএম। কিন্তু যাদবপুরের নেতারা ঠিক করেছেন, যাদবপুর নাগরিক মঞ্চ নাম দিয়ে তাঁরা বিশিষ্টজনদের নিয়ে মিছিল করবেন। উপস্থিত থাকবেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এছাড়া পবিত্র সরকার সহ অন্যদের থাকার কথা। রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত বলছিলেন, ‘নাগরিক সমাজ মিছিলের ডাক দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে দেবে না। এটা সিপিএমের ব্যক্তিগত বিষয় নয়। আমাদের রাজ্যে বিজেপির নেতারা হম্বিতম্বি করছেন। এটা কতদিন? রাজনীতির ভেদাভেদ ভুলে আসতে হবে।’ এদিকে, যাদবপুর দক্ষিণ ১ এরিয়া কমিটি বেশ অস্বস্তি বাড়িয়েছে আলিমুদ্দিনের। সাংগঠনিকভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্তর্গত এই এরিয়া কমিটিতে ৬৫ জন সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এক সদস্যকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার প্রতিবাদেই এই অবস্থান।