অয়ন ঘোষাল- পিয়ালী মিত্র: সাতসকালে রক্তাক্ত কাণ্ড কলকাতায়। হরিদেবপুরে মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি। মহিলার পিঠে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। এম আর বঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, দুই যুবক বাইক চালিয়ে আসে। গুলি করে পালিয়ে যায়। আহত মহিলার নাম মৌসুমী হালদার (৩৮)। সকাল ৬ টা ২১ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় এস এস কে এম ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তর করা হয়েছে মৌসুমীকে। ৭০/১০ কালীপদ মুখার্জি রোড, পশ্চিম বরিশা। হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত। সেখানেই গুলি চলেছে।
ঘটনাস্থলে ফরেনসিক আসবে। তাই স্পট গার্ড রেল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্থানীয় এক যুবক, নাম বাবলু ঘোষ। বাবলুর মুরগীর দোকান আছে। আহত মহিলার সঙ্গে তার পরিচিত ছিল। আহত মহিলা বিবাহিত। স্বামী এবং এক ছেলে আছে। ইতোমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস। তদন্ত চলছে।
ছেলেটা জোর করে সম্পর্ক করতে চেয়েছিল। আহত মহিলার তরফ থেকে আপত্তি ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিস, খবর সূত্রের।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই প্রেমে প্রত্যাখানের জেরে যাদবপুরে তরুণীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্ধ্যেবেলা বাড়ির বাইরে থেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় প্রাক্তন প্রেমিক। যদিও গুলি লাগেনি তাঁর গায়ে। ঘটনার পর যাদবপুরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিহার থেকে অভিযুক্ত রবিকুমার ভরদ্বাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ঘটনার তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি বিহারে। তবে বেঙ্গালুরুতে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা চালাত সে। সেই সংস্থায় কাজে যোগ দেয় কলকাতার তরুণী। সেই সূত্রেই ২০২২ সাল থেকে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক। বেঙ্গালুরুতে ইন্দরনগরে দুজনে লিভ ইন করতে শুরু করে। কিন্তু পরবর্তী কালে যুবতী ও তাঁর পরিবার জানতে পারে রবিকুমার ভরদ্বাজ নামে ওই যুবক বিবাহিত। ফলে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় তরুণী।
ব্রেক আপে রাজি না হওয়ায় ২০২৩ সালে তরুণীর উপর বেঙ্গালুরুতে চপার দিয়ে হামলা করে অভিযুক্ত। ৩২টি সেলাই পরে। বেঙ্গালুরু পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয় রবি। কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায়। তরুণী কলকাতা ফিরে আসে। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্ত। এর আগেও এলাকায় এসে গোলমাল করে গল্ফগ্রিন থানাতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।