সিউড়িতে আদিবাসী প্রৌঢ়াকে ‘গণধর্ষণ’, ঘটনার তদন্তে এসে বিজেপি-পুলিশ তুলকালাম
প্রতিদিন | ০৩ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রার্থনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক আদিবাসী প্রৌঢ়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় তাঁর মুখ ক্ষতবিক্ষত ছিল। বিজেপির অভিযোগ, জঙ্গলের মধ্যে চারজন লোক তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতার পরিচয় লোপাটের জন্য মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে গেলে তাঁদের গেরুয়া শিবির হেনস্তা করে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিউড়িতে ব্যাপক উত্তেজনা।
নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, চিৎকার শুনে প্রৌঢ়ার খোঁজ শুরু করা হয়। জঙ্গলের ভিতর বাড়ি থেকে আধ কিলোমিটার দূরে নির্যাতিতাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপির দাবি, মহিলার যথাযথ চিকিৎসার আগেই পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। সিউড়ি এক নম্বর মণ্ডল সভাপতি অভিজিৎ দাসের অভিযোগ চিকিৎসা করার সুযোগই দেয়নি পুলিশ। তার আগেই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বাধ্য হয়ে এক জুনিয়র ডাক্তার তাঁর রেফার লিখেই ছেড়ে দেন।
গণধর্ষণে অভিযোগে উত্তেজনার মাঝে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরেই ডিএসপি, সিউড়ি থানার আইসি হাসপাতালে হাজির হন। সে সময় নির্যাতিতার ছেলেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য বিজেপি চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ডিএসপিকে হেনস্তা করা হয় বলেও পুলিশের দাবি। তদন্তকারীরা জানান, নির্যাতিতাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় গেরুয়া শিবির।
বলে রাখা ভালো, নারী নির্যাতন রুখতে বরাবরই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুলিশের। তাই অভিযোগ পাওয়ামাত্রই শুরু হয়ে জোরদার তদন্ত। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় নমুনা সংগ্রহের কাজও করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হবে বলেই দাবি তদন্তকারীদের।এই ঘটনায় চলছে জোর রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনা অত্যন্ত ন্য়ক্কারজনক। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবে। বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনায় জোর করে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে বলেই দাবি শাসক শিবিরের।