জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান। সেই আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। সোমবার শীর্ষ আদালতের শুনানিতে কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় শাহজাহানের আইনজীবীকে। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের পর্যবেক্ষণ, ‘কলকাতা হাইকোর্ট নিয়মিত শুনানি করেছে এই মামলার৷ আপনার মৌলিক অধিকার আদৌ ভঙ্গ হচ্ছে না। আপনি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে আবেদন করুন। তার আগে আপনি আর্টিকেল ৩২-র আওতায় কী ভাবে মামলা করেন?’
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই অভিযান ঘিরে বেনজির এক ঘটনার সাক্ষী থাকে গোটা বাংলা। অভিযোগ ওঠে, ইডির টিম শেখ শাহজাহানের সরবেড়িয়া গ্রামে ঢুকতেই লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে হাজার হাজার মহিলা, পুরুষ তেড়ে আসেন। অভিযোগ ওঠে, ইডির আধিকারিকদের ল্যাপটপ ভেঙে দেওয়া হয়, গায়ে হাত তোলা হয়।
সেই ঘটনার ঠিক ৫৫ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। এর পরে একের পরে এক সাংঘাতিক সব অভিযোগ ওঠে শাহজাহানের নামে। সম্প্রতি জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, একই অভিযোগে আধ ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করেছে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ইতিমধ্যেই প্রথম এফআইআর-এ জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু ৯ মাস হয়ে গেলেও দ্বিতীয় এফআইআর নিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি। সেই কারণেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ।
শাহজাহানের আইনজীবী রজত সিনহা রায়ের বক্তব্য ছিল, ‘একই অভিযোগে দু’টি এফআইআর এমনিতেই বেআইনি। তার উপরে সিবিআই-ও দু’টি এফআইআর-এর সংযুক্তিকরণ করতে চেয়ে আবেদন করেছে। এই বিষয়গুলি তুলে ধরতেই আমরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।’ যদিও শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, জামিনের আর্জি নিয়ে যা বলার, তা হাইকোর্টকেই জানাতে হবে।