সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেই দেশজুড়ে সাইবার প্রতারণা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। চক্রান্ত রুখতে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথাও ভাবছে শীর্ষ আদালত। এই অবস্থায় বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, সাইবার জালিয়াতির বিরুদ্ধে ‘শক্ত হাতে’ ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তথ্য দেয়, আমজনতাকে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে ফেলে পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা হাতিয়েছে প্রতারকরা। অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক জালিয়াতির শিকার হয়েছেন।
সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, আদালত এই বিষয়ে (ডিজিটাল অ্যারেস্ট-সহ অন্য সাইবার প্রতারণা) সকল পক্ষের বক্তব্য শুনবে এবং বিষয়টি তদারকির জন্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট এনএস নাপ্পিনাইকে নিয়োগ করবে। শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত যেমন শক্ত হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে, তেমনই সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আক্ষেপের স্বরে বলেন, অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক প্রতারিত হচ্ছেন। মেহতা আদালতকে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিশেষ ইউনিট এই ধরনের অভিযোগের তদন্ত করছে। তারা বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিলের জন্য সময় চেয়েছে।
এদিন আদালত বলে, “এটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আঁতকে ওঠার মতো…আমাদের জানা নেই অন্য দেশগুলিতে কী পরিস্থিতি। জানি না প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক পিলারগুলি কীভাবে কাজ করে। তবে আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। আমরা যদি দ্বিধাগ্রস্ত হই বা উপেক্ষা করি এবং কঠোর আদেশ জারি না করি, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে সমস্ত রাজ্যগুলিকে নোটিস পাঠায় সর্বোচ্চ আদালত। কোন রাজ্যে কতগুলি ‘ডিজিটাল গ্রেপ্তারি’র অভিযোগে এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে, সেই তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে বলা হয়। তথ্য খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশিকা জারির কথা বলা হয়। এদিকে রবিবার প্রকাশ্যে এসেছে ইডির একটি রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, অনলাইন প্রতারণায় সিংহভাগ চিনা জালিয়াত! ঋণের টোপে গায়েব হয়েছে কমপক্ষে ২৮,০০০ কোটি টাকা। দেশের ২০টির বেশি রাজ্যের কয়েক হাজার মানুষ ফাঁদে পড়েছেন।