• ভোটমুখী বিহারে মোদির ‘কাট্টা’ মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়, নিন্দায় সরব তেজস্বী
    প্রতিদিন | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার বিহারের মুজাফফরপুরে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে আরজেডিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কাট্টা (দেশি বন্দুক), নিষ্ঠুরতা, দুঃশাসন এবং দুর্নীতি হল জঙ্গলরাজের বৈশিষ্ট্য। আর এগুলির সবকটাই আরজেডির সঙ্গে সম্পর্কিত।” তাঁর দাবি, আরজেডি কংগ্রেসের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করিয়েছে। মোদির এহেন মন্তব্যের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর নিন্দায় সরব হন লালুপুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।

    সোমবার তেজস্বী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। আমি দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রীকে এই ধরণের শব্দ চয়ন করতে শুনিনি। এর মাধ্যমে তাঁর চিন্তাভাবনার প্রকাশ পায়।” মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন গুজরাটে যান, তখন কারখানা, প্রযুক্তি, ডেটা সেন্টার ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু যখনই তিনি বিহারে আসেন, তখন তাঁর মুখে কাট্টার কথা শোনা যায়।” প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কিছু বলার নেই। তাই তিনি মিথ্যাচার করছেন। কেউ কাউকে বন্দুকের মুখে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে বলবে না। কংগ্রেস কোনওদিনই এই কাজ করেনি। মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই ধরনের মন্তব্য হাস্যকর। এর মাধ্যমে বোঝা যায় তিনি কোন স্তরে বসবাস করেন।”

    মোদি তাঁর ওই জনসভা থেকে একযোগে রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বীকে তোপ দাগেন। তাঁর কটাক্ষ, বিহারে দুই নেতা নিজেদের ‘যুবরাজ’ বলে দাবি করেছে। তারা আসলে দুর্নীতির যুবরাজ। তাঁদের পরিবার আসলে দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার। বিহারে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় নীতীশ কুমার। এর বেশিরভাগ সময় এনডিএর শরিক হিসাবে। অথচ বিহারের ভোটপ্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীতীশ রাজের উন্নয়ন, সাফল্যের চেয়ে বেশি করে তুলে ধরেন ২০ বছরের পুরনো ‘জঙ্গলরাজ’ প্রসঙ্গ। মোদি জানান, “পাঁচটি ‘ক’-কে কেন্দ্র করে এই ‘জঙ্গলরাজ’ প্রতিষ্ঠিত। কাট্টা (দেশি বন্দুক), ক্রুরতা, কটুতা, কুশাসন, এবং দুর্নীতি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)