জাতপাতের রাজনীতি করে কংগ্রেস-আরজেডি, ওরা রামবিরোধী, মাফিয়াদের রক্ষক, তোপ যোগীর
প্রতিদিন | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
হেমন্ত মৈথিল, সারন: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোমবার বিহারের সারন জেলার গোরখা বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করেন। তিনি এনডিএ প্রার্থী সীমন্ত মৃণালের সমর্থনে প্রচার চালান। এই মঞ্চ থেকে তিনি কংগ্রেস ও আরজেডি-র বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।
যোগী বলেন, কংগ্রেস ও আরজেডি এই দুই দলই মাতা জানকী ও শ্রীরামের অস্তিত্ব অস্বীকার করে আপামর হিন্দু সমাজকে অপমান করেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, “ভগবান শ্রীরামের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করার চেয়ে বড় অপমান আর কী হতে পারে?” তিনি মনে করিয়ে দেন, আরজেডি সরকার রাম রথযাত্রায় বাধা দিয়েছিল। সমাজবাদী পার্টি রাম ভক্তদের ওপর গুলি চালিয়েছিল। এ সব কথা বিহারের জনগণ মনে রেখেছে। ভোটের সময় মোক্ষম জবাব দিতে জনগণ প্রস্তুত।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, আজ অযোধ্যায় বিশাল রাম মন্দির তৈরি হয়েছে। এটি শুধুমাত্র বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের জন্য সম্ভব হতে পেরেছে।
আরজেডি-কে নিশানা করে যোগী বলেন, ১৯৯২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে বিহার গণহত্যা, অপহরণ ও আতঙ্কের শীর্ষে ছিল। সে সময় ৬০টিরও বেশি জাতিগত দাঙ্গা হয়েছিল। ৩০ হাজারেরও বেশি অপহরণ হয়েছিল। মেয়েরা কোথাও সুরক্ষিত ছিল না।
তিনি বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে দেশের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার হচ্ছে। তিনি বিরোধীদের কটাক্ষ করেন। বলেন, মহাত্মা গান্ধীর তিন বানর খারাপ দেখতেন না বা শুনতেন না। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটে ‘পাপ্পু, টাপ্পু ও আপ্পু’ নামে তিন বানর আছে। তারা সত্য দেখতে বা শুনতে চায় না।
যোগী মাফিয়াদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আরজেডি-কে সরাসরি অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে মাফিয়া শাসনের শেষ হয়েছে। দ্রুত বিহারেও বুলডোজার মডেল শুরু হবে। তিনি উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের প্রাচীন ‘রোটি-বেটি’ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি সীমন্ত মৃণালকে বিপুল ভোটে জেতানোর আবেদন জানান। এই জয় বিহারের মর্যাদা ও উন্নয়ন ফিরিয়ে আনবে।