ঝাড়গ্রামে শিল্পে বিনিয়োগে দুই সংস্থাকে জমি, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বড় পদক্ষেপ
প্রতিদিন | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
নব্যেন্দু হাজরা: বাংলায় শিল্পের বিনিয়োগ বাড়ছে। শিল্পপতিরা রাজ্যতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হচ্ছেন। বছরের শেষেই রাজ্যে হবে বাণিজ্য সম্মেলন। ঝাড়গ্রামে শিল্পে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। সেজন্য একটি বড় পদক্ষেপ করা হল। আজ, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঝাড়গ্রামে ১৪৯.৬৪ একর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড আছে। সেটি এতদিন WBIDC-এর অধীনে ছিল। ক্যাপ্টেন ইন্ডাস্ট্রিজ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং আল্ট্রা টেক কোম্পানি এই দুই সংস্থাকে জমি দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। এই দুই সংস্থাকে ফ্রি হোল্ড গাইডলাইন অনুযায়ী বরাদ্দ করা হচ্ছে। জেলার সুখনিবাস ও খাগড়াশোল মৌজায় ওই জমি দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামে শিল্প বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করতে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “উভয় সংস্থাই রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সমস্ত গাইডলাইন মেনে আবেদন করেছে। ফলে ঝাড়গ্রাম অঞ্চলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
সামনেই ‘বন্দে মাতরম্’ রচনার ১৫০ বছর পূর্তি। রাজ্যজুড়ে সেটি উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি সেলিব্রেশন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য উপদেষ্টা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও আবুল বাশার, গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, সুবোধ সরকার, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শুভাপ্রসন্ন, সত্যম রায় চৌধুরী, দেব, সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্ব মজুমদার এবং দেবাশিস ভট্টাচার্য সদস্য হিসেবে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি ভারত সরকার জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ এবং জাতীয় গীত ‘বন্দে মাতরম্’কে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। এদিন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ” “জাতীয় গীত রচনার ১৫০ বছর পূর্তি আমরা উৎসবের আকারে পালন করব। জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় গীত উভয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, মন্ত্রীরা যেন জেলায় জেলায় থাকেন। সেক্ষেত্রে এদিন ১৩ জন মন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এলাকায় মানুশের পাশে থাকার বার্তা এদিন দেওয়া হয়।