সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী কাল মঙ্গলবার থেকে বাংলায় এসআইআর শুরু হচ্ছে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকাকে সূচক হিসেবে ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে ২০০৩ সালের খসড়া তালিকাকে ‘সূচক’ ধরেছে নির্বাচন কমিশন। এবার সেই ইস্যুতে কমিশনকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কুলপিতে কেন ২০০৩ সালের তালিকাকে সূচক ধরা হচ্ছে? জোরালো সেই প্রশ্ন এদিন তুলেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নতুন ওয়েবসাইটে কুলপি বিধানসভার ভোটার তালিকা আপলোড করেছে। দেখা গিয়েছে, সেই তালিকা ২০০৩ সালের। ওই বছর ১ জানুয়ারি সেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা সূচক হিসেবে গণ্য হচ্ছে, তাহলে এক্ষেত্রে অন্য নিয়ম কেন? সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এবার সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় বিতর্কে জড়াল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরও।
আগামী কাল, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআরের প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল করবে। সেই মিছিল উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে হাঁটবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। অসংখ্য কর্মী-সমর্থকও পথে নামবেন। এদিনও সাধারণ মানুষদের মিছিলে শামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে কুলপির ভোটার তালিকা নিয়ে তোপ দেগেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “কমিশন একদিকে বলছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকা এসআইআরের সূচক। তাহলে কুলপিতে কেন ২০০৩ সালের তালিকাকে সূচক হিসেবে ধরা হচ্ছে?” তাঁর আরও প্রশ্ন, “এক একটি বিধানসভায় এক একরকম নিয়ম কী করে হয়? কমিশন কি এসআইআর করতে আদৌ প্রস্তুত?” এই বিষয়টি কমিশনের ‘খামখেয়ালিপনা’ নয়তো? সেই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশে।
যে তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, সেটি ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল। বড়বেড়িয়া জুনিয়র বেসিক স্কুল, মুকুন্দপুর এফপি স্কুল, হাঁড়া জেলেপাড়া এফফি স্কুল-সহ কুলপির ১৮৭টি বুথের ভোটার তালিকা সেখানে আছে বলে খবর। আর তাই নিয়েই বিতর্ক। আজ, সোমবার তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে আগে কমিশনের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, কুলপি-সহ রাজ্যের বেশ কিছু বিধানসভার একাধিক বুথে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা পাওয়া যায়নি। সেজন্য ওইসব জায়গায় ২০০৩ সালের এই খসড়া তালিকাকে সূচক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।