• এসআইআরের আড়ালে এনআরসি? গণ আন্দোলনে গঠিত বৃহত্তম মঞ্চ, ডাক সমাবেশ-মিছিলের
    প্রতিদিন | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: এসআইআর বিরোধী গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি একশোর বেশি সংগঠন নিয়ে গঠিত হল বৃহত্তম মঞ্চের। এসআইআরের আড়ালে এনআরসি করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ মঞ্চের। শুধু তাই নয়, তা বাতিলের পাশাপাশি এসআইআর-আতঙ্কে আত্মঘাতীদের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছে মঞ্চ। দাবির সমর্থনে আগামী ৫ নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার কলকাতায় সমাবেশ করবে এই সংগঠন। কলকাতা কর্পোরেশনের পাশে হবে এই সমাবেশ। সেখানেই এসআইআর বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হবে বলে সোমবার এসআইআর বিরোধী গণ আন্দোলনের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়।

    সংগঠনের তরফে এসআইআর বিরোধী একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছোটন দাস ও শক্তিমান ঘোষ। শতাধিক সংগঠন আগামী ৫ নভেম্বর সমাবেশ করবে পাশাপাশি ১০ ডিসেম্বর কলকাতা বিশাল মহামিছিলও করবে বলেও জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলায় জেলায় হবে কনভেনশনও। আর একেবারে শেষে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন‌্য ধরনা-অবস্থানে বসবে এসআইআর বিরোধী গণ আন্দোলনে শামিল প্রায় দেড়শো সংগঠন। মঞ্চের নিশানায় রয়েছে বিজেপি, আরএসএসও।

    এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, ছোটন দাস, প্রসূন ভৌমিক, শক্তিমান ঘোষ, ড. মসহুর রহমান, সুবল সরকার প্রমুখ। সুজাত ভদ্রর বক্তব‌্য, ‘‘কে নাগরিক, কে নাগরিক নয়, এটা নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করে না। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ। নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ার নেই আমি নাগরিক কি নাগরিক নই, তা ঠিক করার। একটা সাংবিধানিক সংস্থা, নাগরিকদের কাছে মিথ‌্যা বলছে। নাগরিকত্বের প্রশ্ন তুলে নাম বাদ দেওয়ার এক্তিয়ার কমিশনের নেই।’’ তাঁর কথায়, ইনটেনসিভ রিভিশন হতে পারে, কিন্তু এসআইআর কোনও আইনে নেই।

    অন্যদিকে ছোটন দাসের বক্তব‌্য, এসআইআর বেআইনি, সংবিধান বিরোধী। নির্বাচন কমিশন আদিবাসী ও দলিত বিরোধী। আসলে বিজেপিই আদিবাসী বিরোধী, তাই কমিশন আদিবাসীদের নাম বাদ দেবে। আরএসএস ও বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে কমিশন। প্রসূন ভৌমিকের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলের (বিজেপি) দলদাস হিসেবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। ঘুরপথে এনআরসি চালানো হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)