নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ফের বাড়ছে দূষণ। ‘খারাপ’ থেকে ‘অতি খারাপে’র দিকে এগোচ্ছে দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআর এলাকার দূষণ পরিস্থিতি। গত মে মাসেই দিল্লিতে দূষণ পরিস্থিতির মোকাবিলায় কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের লক্ষ্যে মোট পাঁচটি ক্লাউড সিডিং ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছিল দিল্লি বিজেপি সরকার। কানপুর আইআইটির সহযোগিতায় ইতিমধ্যেই ক্লাউড সিডিংয়ের তিনটি পরীক্ষামূলক ট্রায়াল করেছে দিল্লি সরকার। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য আগেই জানিয়েছিল দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রায় নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে আরও দু’টো ক্লাউড সিডিংয়ের অনুমোদন রয়েছে দিল্লি সরকারের। তার জন্য বরাদ্দ হয়ে রয়েছে অর্থও। কিন্তু তা কবে হবে কিংবা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে আর কোনও উচ্চবাচ্যই করছে না দিল্লির সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার দিল্লি সরকারকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’কে (সিএকিউএম) নির্দেশ দিয়েছে, দূষণ কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার রিপোর্ট দিতে হবে। ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আদালত বান্ধব আইনজীবী অপরাজিতা সিং জানিয়েছেন, দিল্লিতে মোট ৩৭টি এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু দীপাবলিতে তার মধ্যে মাত্র ন’টি কার্যকর ছিল। সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত দিল্লি এবং অধিকাংশ এনসিআর শহরে দূষণ পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত খারাপ’ মাত্রায় চলে গিয়েছে। প্রতিটিতেই একিউআই ৩০০য়ের বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও দিল্লির মন্ত্রী মনজিন্দার সিং সিরসার দাবি, রেখা গুপ্তার সময়েই দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি সবথেকে ভালো।